Random Posts

সাজেকে এক সুন্দরী ত্রিপুরা মেয়ের সৌন্দর্যে মুগ্ধতা


                                                                    এক পাহাড়ী সুন্দরী

জীবনে অনেক আশা পূর্ণ হয় আবার অনেক আশা অপূর্ণ থেকে যায়।কিছু মানুষের কথা মাঝে মাঝে  কিছু সময়ের জন্য মনে হয় কিন্তুু চাইলেও কিছু সময়ের জন্য দেখা করা খুবই কঠিন।পাহাড়ি প্রকৃতির সাথে পাহাড়ী মেয়ের প্রতি আমি  মুগ্ধ। মেয়েটির মুখ বাঁকা চাঁদের মতো বললে ভুল হবে না।চোখগুলো টানাটানা এমন টানাটানা চোখ শুধু হরিণের মতো পশুপাখির থাকতে পারে মানুষের না।সুন্দরী মেয়ে দেখলে সব ছেলেরেই কথা বলতে ইচ্ছা করে আমার ক্ষেত্রে ও তার ব্যতিক্রম হয় নি।ভালো কথা মেয়েটি সম্পর্কে তেমন কিছু বলা হয় নি।মেয়েটির সাথে প্রথম দেখা হয়েছিল আমার থাকার নতুন কটেজের সামনে।ঘুরতে গিয়েছিলাম খাগড়াছড়ি।কটেজের সামনে ছিলো আমগাছ। আমার কটেজের জানালার একদম পাশে।মেয়েটি সেই গাছের মধ্যে লাগানো  দোলনায় দোলনা খাচ্ছিল।তার কোলে একটি কুকুর।তার সাথে আরো দুটি মেয়ে।প্রথম দেখাতে কাছে যেতে ইচ্ছে হল কিন্তুু কি ভেবে যেনো যাইনি।মেয়েটিকে দূর থেকে দেখতে ভালো লাগছিলো।জোছনা দূর থেকে দেখা ভালো।সকাল বেলায় জোছনা কাছে থেকে দেখলে বিপদ হতে পারে।কিছু ছেলে আছে দূর থেকে জোছনা দেখতে পছন্দ করে।মনোযোগ দিয়ে দেখছিলাম মেয়েটি যেন খাগড়াছড়ির হুর। মেয়েটি  আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিলো।সুন্দরী মেয়েদের এমন হাসির উত্তরে যুবক ছেলেরা ফরমালি হাসি দেখায় কিন্তুু তাদের অন্তরের ঝড় দেখা সম্ভব হয় না।সৃষ্টিকর্তাকে অশেষ ধন্যবাদ  তা  না হলে সে ঝড়ে খাগড়াছড়ির কোন গাছপালা থাকতো না।মেয়েটির বয়সের কথা বলা হলো না আনুমানিক ১৫ বছর।১৫ থেকে ১৮ বছরের মেয়েগুলো শুয়োপোকা থেকে প্রজাপতির মতো ডানা মেলা শুরু করে।বেশ কিছুক্ষণ চোখাচোখি চলতে থাকার কিছুক্ষণ পর মেয়েটি আমার দিকে তাকিয়ে  কুকুরের ছানা নিয়ে চলে যাচ্ছিল হেটেঁ।কুকুরটি বিলাতি ও সুন্দরী।রেস্টুরেন্টের মালিক চার হাজার টাকা দিয়ে কিনেছে।তাই মেয়েটিকে জিজ্ঞাসা করলাম কুকুরটির নাম কি?আমার কথার কোন জবাব না দিয়ে সামনে দিয়ে চলে গেল।তাই স্মৃতি থেকে মেয়েটিকে খানিক সময়ের জন্য মুছে ফেললাম।সেখানে এক ত্রিপুরা ভাইয়ের সাথে আমার সখ্যতা গড়ে উঠল। নাম তার লীলাময় ত্রিপুরা।একদম চিকন-চাকন, চুলগুলো খাড়া খাড়া টাইপের, তার কাজ হলো কাস্টমারদের জন্য রান্না-বান্না করা।বয়স ২৫ কি ২৬ হবো।তার নামটা না হলে ও বিশ বার জিজ্ঞাসা করেছি।নাম বলতে এখন আর ভুল হয় না ।দুইদিনে ভাইয়ের সাথে আমার সখ্যতা গড়ে উঠল। রাতে তার সাথে  আড্ডা দেওয়ার সময় মেয়েটি হঠাৎ করে সামনে এসে ককবরক ভাষায় কি যেন বলে দৌড় দিলো কিছুই বুঝলাম না।লীলাময় ভাইকে জিজ্ঞাসা  করলাম কি বলছে মেয়েটি আমাকে। মেয়েটি বলছে সে আপনার কথা বুঝে না।ইচ্ছা হচ্ছিল এখনই ককবরক ভাষাটা শিখে ফেলি।কিছুক্ষণ পর মেয়েটি কুকুর ছানাটিকে নিয়ে আমাদের সামনে সিটে বসল।আমি লীলাময় ভাইকে বলতে বললাম তার নাম কি জিজ্ঞাসা করতে।মেয়েটি বলল তার নাম এলি।এলি শেষ কথাটি বলতে পারলাম না তার আগে খাগড়াছড়িকে বিদায় দিতে হয়েছিল।তাকে আবার যদি পেতাম তাহলে বলতাম.......
আং নানা হামজাও,আং নানা হামজাও,আং নানা হামজাও

ধন্যবাদান্তে
সজিব চৌধুরী
সাংবাদিকতা ও মিডিয়া অধ্যয়ন বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
#ট্রাভেল_বাংলাদেশ
#Travel_Bangladesh













































































































































Post a Comment

0 Comments