মনপুরা দ্বীপ ভ্রমণ গাইড
মনপুরা দ্বীপ(Monpura dwip):
মনপুরা দ্বীপে কিভাবে যাবেন ?
যেহেতু মনপুরা দ্বীপের চার পাশে পানি তাই দ্বিপে যাওয়ার একমাত্র বাহন হচ্ছে
লঞ্চ। ঢাকার সদরঘাট থেকে এমভি ফারহান ৩ এবং এমভি ফারহান ৪ নামে দুটি লঞ্চ প্রতিদিন
বিকাল ৫ টায় হাতিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে এবং এম ভি তাসরিফ ১ এবং এম.ভি তাসরিফ-২,জাহাজ দুটি প্রতিদিন
বিকাল ৫ঃ৩০ টায় মনপুরার উদ্দেশ্যে ছেড়ে । সকাল ৭ঃ৩০ মিনিটের মধ্যে
মনপুরা
দ্বীপে পৌঁছায়। লঞ্চের ডেকে চড়ে যেতে জনপ্রতি ভাড়া পড়বে ৩৫০ টাকা। নন এসি
সিঙ্গেল কেবিন ভাড়া ১৮০০ টাকা,নন এসি ডাবল কেবিন ভাড়া ২০০০ টাকা । ডিলাক্স
ডাবল ৩৫০০ টাকা, ভিআইপি কেবিন ৫০০০ টাকা । মনপুরা যেতে সময়
লাগবে প্রায় ১২/১৩ ঘণ্টা। এছাড়া ঢাকা কিংবা বরিশাল থেকে ভোলা হয়ে তজুমদ্দিন
ঘাটের
সি-ট্রাকে ছড়েও মনপুরা যাওয়া যায়। সি-ট্রাকটি তজুমদ্দিন থেকে ছাড়ে
প্রতিদিন
বিকাল ৩ টায় আর মনপুরা থেকে ছাড়ে সকাল ১০ টায়। এপ্রিল - নভেম্বর পর্যন্ত এ নদী পথটি
বিপজ্জনক থাকার কারণে এই রুটে তখন লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকে।
মনপুরা দ্বীপে যেখানে ঘুরবেনঃ
মনপুরা ল্যান্ডিং স্টেশন,মনপুরা হরিণের অভয়াশ্রম এবং চৌধুরী প্রজেক্ট । মনপুরা ল্যান্ডিং স্টেশনটি নদীর ৫০০ মিটার ভেতরে তৈরী করা। যেখানে বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শুধু পর্যটকরা সময় কাটাতে আসে । রাতে এখানে বসলে মনে হবে যেন আপনি মেঘনা নদীর গভীরে ভেসে বেড়াচ্ছেন। কারণ তখন জোয়ার চলার কারণে আপনার চারদিকে থাকবে পানি আর আপনি বসে থাকবেন পানির সামান্য উপরে। নদীর ঢেউয়ের কারণে যখন মাঝে মাঝে স্টেশনটি কেঁপে উঠে, তখন মনে হবে এই বুঝি মেঘনায় ভেসে গেলাম।
ভাগ্য ভালো থাকলে মনপুরায় এসে আপনি সাক্ষাৎ পেতে পারেন হরিণ দলের । কারন এখানে রয়েছে একটি হরিণের অভয়াশ্রম। নদীতে ঝখন জোয়ার চলে তখন ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল প্লাবিত হয় ঠিক তখন বনের হরিণগুলো প্রধান সড়কের কাছা কাছি চলে আসে। স্থানীয়দের লোকদের ভাষ্যমতে, হরিণের পাল যখন রাস্তা পার হয় তখন তিন থেকে পাঁচ মিনিট পর্যন্ত দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয়। দিগন্ত জুড়ে অতিথি পাখির উড়ে বেড়ানোর দৃশ্য, হরিণের পালের ছোটাছুটি, মেঘনা নদীর বুক চিরে ছুটে চলা জেলে নৌকা,চরে ঘুরে বেড়ানো মহিষের পাল আর সারি সারি কেওড়া বাগান পর্যটকদের মন ছুঁয়ে যায়।
এই দ্বীপের প্রধান যানবাহন হচ্ছে মোটরসাইকেল। মটর সাইকেল ছাড়া কোন যানবহন এই দ্বীপে চোখে পড়েনি রাস্তা গুলো ফাঁকা থাকার কারণে সাইক্লিং করার জন্য এই দ্বীপ খুবই উপযোগী। কখনো সবুজের রাজ্য আবার কখনো উত্তাল মেঘনা নদী রাস্তার পাশে রেখে মনপুরা দ্বীপে সাইক্লিং করার মজাই আলাদা।
মনপুরা দ্বীপে কি খাবেন ?
খেজুরের রস,মহিষের দুধের দই ও
শীতের হাঁসের মাংশ, নদীর তাজা মাছ এই খাবার গুলো মনপুরায় বেশ জনপ্রিয় আর মনপুরার ডাব খাওয়া মিস করবেন না ।
মনপুরা দ্বীপে কোথায় থাকবেন ?
মনপুরা দ্বীপের আবাসিক হোটেল নিয়ে আমাদের বানানো ভিডিওটি দেখুনঃ
মনপুরা দ্বীপে যাওয়ার উপায় ,কোথায় থাকবেন । কোথায় খাবেন এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের বানানো এই ভিডিওটি দেখতে পারেন -
0 Comments