Random Posts

বান্দরবান,থানচি,পদ্ম ঝিরি হয়ে আমিয়াখুম,ভেলাখুম,সাতভাই খুম,নাইক্ষংমুখ এবং নাফাখুম ভ্রমন গাইড | Bandarban | Thanchi | Nafakhum | Amiakhum | velakhum | Shat Bhai Khum । Naikhongmukh Travel Guide

debota pahar,paddo jiri,chimbuk hill,nilachol,nilgiri,saatbhaikhum,bhelakhum,bandarban vlog,remakri,raja pathor,bandarban,thanchi,nafakhum,amiakhum,tindu,বান্দরবান,থানচি,পদ্ম ঝিরি,আমিয়াখুম,নাফাখুম,রেমাক্রি,বড় পাথর,জিনাপাড়া,দেবতা পাহাড়,আমিয়াখুম জলপ্রপাত,সাতভাইখুম,ভেলাখুম,শৈলপ্রপাত,চিম্বুক,মিলনছড়ি,নীলগিরি,নীলাচল,থুইসা পাড়া,নাফাখুম জলপ্রপাত,নাইক্ষংমুখ,তিন্দু
ছবি ঃ নাফাখুম (Nafakhum)
Bandarban-Thanchi-Amiakhum-velakhum-Shat Bhai Khum-Naikhongmukh-Nafakhum Travel Guide:
নাফাখুম এবং আমিয়াখুম বান্দরবন জেলার থানচি উপজেলার একটি মারমা অধ্যুসিত এলাকা । মারমা ভাষায় খুম শব্দের অর্থ হচ্ছে ঝর্না । রেমাক্রি খালের পানি প্রবাহ পাথুরে পথে নামতে গিয়ে চমকার এই জলপ্রপাতের সৃটি হয়েছে । এখানে নাফানামের এক প্রকার মাছপাওয়া যায়এরা স্রোতের বিপরীতে লাফ দিয়ে ঝর্না পার হতে চেষ্টাকরে, এখানকার স্থানীয় উপজাতীয়রা সহজেই সে মাছগুলোকে জালদিয়ে ধরে। সম্ভবত সেকারনেই এই ঝর্নার নামনাফাখুম। সবুজপাহাড়ী বন আর পাথুরে ভুমির মাঝে নাফাখুম এই অঞ্চলটি অসাধারন স্বপ্নময় সুন্দর স্থান। বান্দরবান জেলার এই স্পট গুলো বর্তমানে পর্যটকদের কাছে কাঙ্খিত গন্তব্য পরিণত হচ্ছে। আমাদের এই ব্লগে আপনাদের এই স্পট গুলো ভ্রমণের বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং রচ তুলে ধরবো ।

আমিয়াখুম,ভেলাখুম,সাতভাই খুম,নাইক্ষংমুখ এবং নাফাখুম ভ্রমণের প্রস্তুতিঃ
১) ভালো, মজবুত ব্যকপ্যাক নিবেন। হাতব্যাগ/লাগেজ এসব চলবেনা 
২) পুরো টুরে নিজের ব্যাগ নিজের কাধে রাখতে হবে তাই ব্যাগের ওজন যেন বেশি না হয় এই বিয়ে খেয়াল রাখবেন ।
৩) ট্র্যাকিং স্যান্ডেল নিবেন। মাটিতে ভালো গ্রীপ করে, পিছলে যায় না এমন স্যান্ডেল নিবেন।
৪) সঙ্গে পানি, খেজুর সামান্য কিছু হাল্কা খাবার রাখবেন।
৫) পাহাড়ে উঠলে পায়ের পেশির উপর অনেক চাপ পরে, তাই শক্তির জন্ পাহাড়ি কলা কিনে খেতে পারেন । 
৬) সারাদিন চলার পথে ঘাম ঝরলে বেশি স্যালাইন খাবেন। 
৭) হাটার সময় আংলেট, নী-ক্যাপ পরবেন এতে হাটতে সুবিধা হবে
৮) টর্চ নিবেন। কম কম করে জ্বালাবেন। চার্জ শেষ হলে চার্জ দেয়ার ঝামেলা পোহাতে হবে।
৯) অবশ্যই, অবশ্যই প্রতিদিন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠবেন। যত দেরিতে রওনা হবেন, রোদে হাটতে তত বেশি কষ্ট হবে। 
১০) জোঁকের জন্য সবার সঙ্গে লবন রাখবেন। জোঁক লাগলেই অযথা চেঁচা মেচি না করে  লবন দিয়ে দিবেন জোঁক মরে যাবে।
১১) রোদের জন্য ক্যাপ/ছাতা নিতে পারেন।
১২) জ্বর এর ঔষধ, পেইন কিলার,আমাশা এর ঔষধ, গ্যাস্ট্রিক এর ঔষধ, এর ঔষধ খাবার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট ইত্যাদি সাথে নিবেন।
১৩) ৩ কপি ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটো কপি ন্যাশনাল আইডি কার্ড না থাকলে যেকোনো ছবি যুক্ত আইডি কার্ডের ফটো কপি নিতে ভুল্বেন না যদি নিতে ভুলে যান তবে না ঘুরেই আপনাকে ফিরে আসতে হবে ।
১৪)  বড় গ্রুপ করে যাওয়ার চেষ্টা করবেন তা না হলে খরচ বেড়ে যাবে । 
কিভাবে যাবেনঃ
ঢাকা থেকে বান্দরবান  এসি এবং নন এসি অনেক বাস আছে এর মধ্য পাবেন শ্যামলী পরিবহন এবং হানিফ পরিবহন এ। এছাড়াও সেন্টমারটিন সার্ভিস,ডলফিন,শান্তি,ইউনিক,এস আলম সহ আরো কিছু বাস সার্ভিস আছে। এসি সার্ভিসের মধ্যে শ্যমলী আর সেন্টমারটিন পরিবহন বাকী সব নন এসি বাস।  ভাড়া নন এসি- ৬২০ আর এসি ৮৫০-১৫০০ টাকা নিবে। ঢাকা থেকে রাত ১০:৩০টায় বিভিন্ন সার্ভিসের বাস বান্দরবনের উদ্দেশ্যেছেড়ে যায় এবং সকাল৭:৩০ এর মধ্যেপৌছে যায়। 

বান্দরবান টু থানচী:
বান্দরবান বাস স্ট্যান্ড থাকে থানচিবাজার বাস স্ট্যান্ড যাবেন অটোতে করে জনপ্রতি ১০-২০ টাকা নিবে। বান্দরবান এর থানচী বাসস্ট্যান্ড থেকে লোকাল বাসে থানচী বাজার যেতে ভাড়া নিবে জনপ্রতি ২০০ টাকা। এছাড়া বান্দরবান শহর থেকে থানচী রিসার্ভ চান্দের গাড়ি নিয়েও যেতে পারেন ভাড়া নিবে ৪৫০০-৬০০০ টাকা। অথবা সিএনজি রিজার্ভ করেও জেতে পারেন, বান্দরবান টু থানচী সিএনজি রিজার্ভ ভাড়া ৩০০০ টাকা পড়বে ।

থানচি বাজারে এসে যেভাবে আমিয়াখুম,ভেলাখুম,সাতভাই খুম,নাইক্ষংমুখ এবং এবং নাফাখুম ভ্রমণের প্রস্তুতি নিবেনঃ
থানচী বাজার এর গাইড সমিতি থেকে এবার আপনাকে গাইড ঠিক করতে হবে এবং সাথে রিসার্ভ ট্রলার নিতে হবে। নাফাখুম পর্যন্ত মোট ২ জন গাইড লাগে যার ১ম জন থানচী বাজার থেকে নিবেন অন্যজন আমিয়াখুম যাওয়ার সময় নিবেন (এটা নিয়ম সেখানের)।  থানচী থেকে গাইড প্যাকেজ আকারে নিতে হয় আমিয়াখুম,সাতভাই খুম,ভেলাখুম ,নাফাখুম পর্যন্ত যাওয়া আসা ৪৫০০ টাকা দিয়ে চুক্তি করে নিবেন ।  আমিয়াখুম যাওয়ার সময় আরেক জন গাইড ঠিক করতে হয় শুধু আমিয়াখুমের জন্য । আমিয়াখুমের গাইডকে ৮০০ টাকা দিতে হয় । আর আমিয়াখুমের গাইড ঠিক করার সময় ভেলা বানিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে কথা বার্তা বলে নিতে হয় । ট্যুর চলা কালীন সময়ে গাইডের থাকা খাওয়ার সকল খরচ পর্যটকদের বহন করতে হয় । যদি পদ্মজিরি হয়ে গিয়ে রেমাক্রি হয়ে ফিরেন অথবা রেমাক্রি দিয়ে গিয়ে পদ্মজিরি হয়ে ফিরেন তাহলে ট্রলার ভাড়া ৪৫০০ টাকা । আর যদি রেমাক্রি হয়ে যান এবং রেমাক্রি হয়ে ফিরেন তবে ট্রলার ভাড়া ৫০০০/- টাকা পড়বে।  যেদিন যাবেন সেদিন ও পরে নিয়ে আসা পর্যন্ত এই চুক্তি। এক বোটে ৫ জনের বেশি যেতে পারবেন না  । সাঙ্গু নদিতে যদি পানি বেশি থাকে তবে রেমাক্রি থেকে নাফাখুমের দিকে অর্ধেক রাস্তা ট্রলা রিজার্ভ করে যাওয়া যায় ভাড়া নেয় ১০০০ টাকা । থানচি বাজারে গাইড সমিতির কাছ থেকে বাধ্যতা মূলক লাইফ জ্যাকেট ভাড়া নিতে হয় , ভাড়া প্রতি দিনের জন্য ৫০ টাকা করে ।

গাইড,নৌকা এবং লাইফ জ্যাকেট ভাড়া নেওয়ার পরে করনীয়ঃ
গাইড ঠিক করা হয়ে গেলে পর্যটন কর্পোরেশনের ১ টা ফর্মে সকলের নাম এন্ট্রি করতে হয় এবং ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটো কপি জমা দিতে হয় । এই ফর্ম আপনার গাইড বিজিপির কাছে জামা দিবেন । তার পর লোকাল থানায় গিয়ে থানার বইয়ে সকলের নাম এন্ট্রি করতে হয় । এবং পর্যটকদের বাসার নাম্বার দিয়ে হয় যেন কোন ঝামেলা হলে আপনার অভিবাবকের সাথে যোগাযোগ করতে পারে । নিরাপত্তার স্বার্থে থানার ডিউটি অফিসার পর্যটকদের গ্রুপ ছবি তুলে রাখে ।   

থানচি টু পদ্ম ঝিরি হয়ে থুইশা পাড়া অথবা জিনা পাড়াঃ
সব কিছু ঠিক ঠাক আবার ইঞ্জিন চালিত নৌকায় উঠে বসুন নৌকা আপনাকে পদ্ম মুখে নামিয়ে দিবে । সেখান থেকে হাটা সুরু করবেন এবং গাইডকে বলবেনবাঁশের বন্দোবস্ত করে দিতে , বাঁশ হাতে পেলে হাঁটতে সুবিধা হবে । পদ্ম জিরি থেকে প্রায় ৮-১০ ঘন্টা ঝিরি পথ আর পাহাড় পায়ে হেটে পাড়ি দিলেই পেয়ে যাবেন থুইশা পাড়া/ জিনা পাড়া । পুরোটাই ঝিরি পথ কোথাও পাথুরে আবার কোথাও মাটির  কাদা কোথাও কোমর সমান পানি। দু তিন জায়গায় হয়ত হাটু অথবা কোমড় পানি পাড়ি দিতে হবে । শেষের দিকে কয়েকটা পাহাড় পাড়ি দিতে হয় । রাতে থুইশা পাড়া/ জিনা পাড়ায় অবস্তান করবেন । এভাবেই ১ দিন শেষ হবে । সারা দিনের জার্নি শেষ হল রাতে তাড়াতাড়ি খেয়ে শুয়ে পড়বেন কারন সকাল ভোর ৫ টায় উঠতে হবে

থুইশা পাড়া/জিনা পাড়াতে যা যা খাবেনঃ
 এখানে মুলত ৩ ধরনের খাবারের ব্যবস্তা রয়েছে প্যাকেজ ১ঃ ডাল,ডিম,ভর্তা,ভাত- মূল্য ১২০ টাকা, প্যাকেজ ২ঃ ডিম খিছুড়ি - মূল্য ১২০ টাকা , প্যাকেজ ৩ঃ ডাল,পাহাড়ি মুরগি,ভর্তা,ভাত- মূল্য ১৫০ টাকা । আর এখানকার সব পাড়াতেই রাতে থাকলে ১৫০ টাকা ভাড়া দিতে হয় ।

থুইশা পাড়া/জিনা পাড়া থেকে আমিয়াখুম,ভেলাখুম,সাতভাই খুম, নাইক্ষংমুখঃ 
২য় দিন সকাল খুব ভোরে(৫-৬ টায়) আমিয়াখুম,ভেলা খুম,সাত ভাই খুম এবং  নাইক্ষংমুখ ঘুরার উদ্দেশ্য রাওনা দিবেন  তা না হলে এই  ট্যুর ৩ দিনে শেষ করতে পারবেন না  । আমিয়াখুম যেতে প্রায় ২-২.৫ ঘন্টা সময় লাগবে । আর আমিয়াখুম যেতে ভয়ংকর দেবতা পাহাড় পাড়ি দিতে হবে । দেবতা পাহাড় প্রায় ৯০ ডিগ্রি খাড়া তাই চেষ্টা করবেন হামাগুড়ি দিয়ে হাঁটতে , তাই ভুলেও সাহস দেখিয়ে দাঁড়িয়ে হাঁটতে চেষ্টা করবেন না  । ২য় দিনের গোসলটা আমিয়াখুমে সেরে নিবেন । আমিয়াখুম,ভেলাখুম,সাতভাই খুম,নাইক্ষংমুখ  ঘুরে থুইশাপাড়া/জিনাপাড়ায় ফিরতে মোটামুটি দুপুর হয়ে যাবে ।
debota pahar,paddo jiri,chimbuk hill,nilachol,nilgiri,saatbhaikhum,bhelakhum,bandarban vlog,remakri,raja pathor,bandarban,thanchi,nafakhum,amiakhum,tindu,বান্দরবান,থানচি,পদ্ম ঝিরি,আমিয়াখুম,নাফাখুম,রেমাক্রি,বড় পাথর,জিনাপাড়া,দেবতা পাহাড়,আমিয়াখুম জলপ্রপাত,সাতভাইখুম,ভেলাখুম,শৈলপ্রপাত,চিম্বুক,মিলনছড়ি,নীলগিরি,নীলাচল,থুইসা পাড়া,নাফাখুম জলপ্রপাত,নাইক্ষংমুখ,তিন্দু
ছবি ঃ আমিয়াখুম (Amiakhum )
থুইশা পাড়া/জিনা পাড়া থেকে নাফাখুমঃ
২য় দিন দুপুরে আমিয়াখুম,ভেলাখুম,সাতভাই খুম,নাইক্ষংমুখ ঘুরে দুপুরের মধ্য থুইশাপাড়া/জিনাপাড়ায় ফিরে আসবেন এবং তাড়াতাড়ি দুপুরের খাবার খেয়ে নাফাখুম পাড়ার উদ্দেশ্য রাওনা দিবেন। থুইশা পাড়া/জিনা পাড়া থেকে  নাফাখুম পাড়ায় যেতে মোটামুটি সন্ধ্যা হয়ে যাবে । রাতে নাফাখুম পাড়ায় আদিবাসীদের কটেজে থাকবেন এবং পরের দিন সকালে নাস্তা করে নাফাখুম ঝর্ণায় ঘুরবেন এবং চাইলে গোসলও করে নিতে পারেন । নাফাখুম ঝর্নার অবস্তান ঠিক নাফাখুম পাড়ার পাশেই । সকাল ৮-৯ টার মধ্য নাফাখুম দেখে রেমাক্রি হয়ে থানচীর উদ্দেশ্য রাওনা দিবেন । 

নাফাখুম ঝর্ণা থেকে রেমাক্রি জলপ্রপাথ - থানচি হয়ে ঢাকাঃ
নাফাখুম ঝর্ণা থেকে রেমাক্রি যেতে মোটামুটি  ২-২.৫ ঘন্টা সময় লাগে , যদি ৮-৯ টায় রাওনা দেন তবে রেমাক্রিতে জেতে প্রায় ১১-১১.৩০ বেজে যাবে । রেমাক্রিতে কিছুটা সময় কাটিয়ে থানচির উদ্দেশ্য রাওনা দিবেন । রেমাক্রিতে থেকে  থানচি পর্যন্ত যেতে মোটামুটি দুপুর হয়ে যাবে ।  থানচিতে দুপুরের খাবার খেয়ে চাঁদের গাড়ী রিজার্ভ করে বান্দরবান চলে আসবেন এবং রাতের বাস ধরবেন ঢাকা ফেরার উদ্দেশ্য ।

গাইড এর নাম্বার- 
১. 01849556340- মোঃ হারুন রশীদ
২. 01826-545024- সুজিত
debota pahar,paddo jiri,chimbuk hill,nilachol,nilgiri,saatbhaikhum,bhelakhum,bandarban vlog,remakri,raja pathor,bandarban,thanchi,nafakhum,amiakhum,tindu,বান্দরবান,থানচি,পদ্ম ঝিরি,আমিয়াখুম,নাফাখুম,রেমাক্রি,বড় পাথর,জিনাপাড়া,দেবতা পাহাড়,আমিয়াখুম জলপ্রপাত,সাতভাইখুম,ভেলাখুম,শৈলপ্রপাত,চিম্বুক,মিলনছড়ি,নীলগিরি,নীলাচল,থুইসা পাড়া,নাফাখুম জলপ্রপাত,নাইক্ষংমুখ,তিন্দু
ছবি ঃ সাতভাই খুম (Shat Bhai Khum)
এবার ফেরার পালা যেতে যেতে সংক্ষিপ্ত আকারে আমাদের এই টুরের খরচ সমুহ দেখে নিনঃ
ঢাকা থেকে বান্দরবান বাস ভাড়া = ৬২০ টাকা
১ম দিন সকালের নাস্তা = ৪০ টাকা
বান্দরবান থেকে চাঁদের গাড়ী ভাড়া = ৪৫০০/১৫
জনপ্রতি চাঁদের গাড়ী ভাড়া ৩০০ টাকা ।
থানচিতে দুপুরের খাবার = ১২০ টাকা
থানচি থেকে গাইড ফি নাফাখুম আমিয়াখুম = ৫৫০০/১৫
জন প্রতি গাইড ফি ৩৬৭ টাকা ।
গাইডসমিতির সেবা মূল্য ১০০/১৫ , জন প্রতি = ৭ টাকা 
ট্রলার ভাড়া =৫৫০০/৫
জন প্রতি ট্রলার ভাড়া ১১০০ টাকা
১ম রাত থুইশা পাড়া আদিবাসী কটেজ ভাড়া জন প্রতি = ১৫০ টাকা
থুইশাপাড়াতে রাতের খাবার = ১৫০ টাকা
২য় দিন থুইশাপাড়াতে সকালের নাস্তা ডিম খিচুরি = ১২০ টাকা
২য় দিন থুইশাপাড়াতে দুপুরের খাবার = ১৫০ টাকা
২য় দিন নাফাখুম পাড়াতে রাতের খাবার = ১৫০ টাকা
৩য় দিন নাফাখুম পাড়াতে সকালের নাস্তা ডিম খিচুড়ি = ১২০ টাকা
৩য় দিন থানচিতে দুপুরের খাবার = ১২০ টাকা
থানচি থেকে বান্দরবান চাঁদের গাড়ী ভাড়া = ৪৫০০/১৫
জনপ্রতি চাঁদের গাড়ী ভাড়া ৩০০ টাকা
বান্দরবানে রাতের খাবার = ১৫০ টাকা
বান্দরবান থেকে ঢাকা বাস ভাড়া = ৬২০ টাকা
৩ দিনের জন্য লাইফ জ্যাকেট ফি জন প্রতি = ১৫০ টাকা
গাইডের থাকা খাওয়ার খরচ = ১১৪০/১৫, জন প্রতি খরচ = ৭৬ টাকা

এই ট্যুরে আমাদের ১৫ জনের টিম ছিলো জন প্রতি খরচঃ ৪৮১০ টাকা ।
debota pahar,paddo jiri,chimbuk hill,nilachol,nilgiri,saatbhaikhum,bhelakhum,bandarban vlog,remakri,raja pathor,bandarban,thanchi,nafakhum,amiakhum,tindu,বান্দরবান,থানচি,পদ্ম ঝিরি,আমিয়াখুম,নাফাখুম,রেমাক্রি,বড় পাথর,জিনাপাড়া,দেবতা পাহাড়,আমিয়াখুম জলপ্রপাত,সাতভাইখুম,ভেলাখুম,শৈলপ্রপাত,চিম্বুক,মিলনছড়ি,নীলগিরি,নীলাচল,থুইসা পাড়া,নাফাখুম জলপ্রপাত,নাইক্ষংমুখ,তিন্দু
ছবি ঃ ভেলাখুম (velakhum)
বিকল্প পথে কিভাবে যাবেন ? যারা অপেক্ষাকৃত কম হাঁটতে চান তাদের জন্য আমিয়াখুম,ভেলাখুম,সাতভাই খুম,নাইক্ষংমুখ এবং নাফাখুম ভ্রমনের ২য় এবং সহজ পথ হবেঃ
বান্দবন- থানচি - তিন্দু - রেমাক্রী - নাফাখুম - থুইশা পাড়া/জিনা পাড়া - আমিয়াখুম-ভেলাখুম-সাতভাই খুম - নাইক্ষংমুখ । আবার একই রাস্তায় ফিরে আসা ।

থানচি হতে রেমাক্রী জলপ্রপাথঃ
থানচি এখানে থেকে নৌপথে আপনাকে পৌছতে হবে রেমাক্রী। রেমাক্রী বাজারের পৌছার কিছুটা আগে ছোট একটাজলপ্রপাত আছে, নাম রেমাক্রী জলপ্রপাথ। প্রায় ৪/৫ ফুট উচু হতে সিড়ির মত ধাপে ধাপে পানি সাঙ্গু নদীতে পড়ে। এসব দৃশ্য দেখে আপনার বুকটা গর্বে ভরে যাবে আর মনে হবে এই আমারমাতৃভূমি, আমার বাংলাদেশ। 

রেমাক্রীহতে নাফাখুমঃ
রেমাক্রীহতে নাফাখুম পর্যন্ত আর কোন বাহন আপনি পাবেন না।তবে যদি বরষার সিজন হয় তবে রেমাক্রি খালে পানি বেশি থাকলে ট্রলার রিজার্ভ করে অর্ধেক রাস্তায় জেতে পারবেন । রেমাক্রী বাজার হতে নদীর কুল ঘেষে প্রায় ২/৩ ঘন্টা হেটে পৌছবেন নাফাখুম। নদীর তীরটা পাথুরে, এখানে জনবসতি একেবারেই কম । এইপথে বেশ কয়েক বার বুক সমান গভীর নদী পার পাড়ি দিতে হয়। দীর্ঘপথ পারী দিয়ে নাফাখুমপৌছবেন, ক্লান্ত পা ঝর্ণার পানিতে ভেজানোর সাথে সাথে সব ক্লান্তি দুর হয়ে যাবে নিমিষেই । 

কোথায় থাকবেন
রাতে নাফাখুম পাড়ায় পাহাড়ি রেস্ট হাউজে থাকতে পারেন, জনপ্রতি ভাড়া নিবে ১৫০ টাকা ।  তাছাড়া মারমাদের প্রায় প্রতিটি বাড়ীতেই খুব অল্প টাকায় থাকা-খাওয়ার সুবিধা রয়েছে।  খাওয়ার খরচ পরবে জন প্রতি ১২০ থেকে ১ টাকা । 
নাফাখুম হতে আমিয়াখুম,ভেলাখুম,সাতভাই খুম এবং নাইক্ষংমুখঃ  
রাতে নাফাখুম পাড়ায় থেকে ২য় দিন সকালে ভোর ৫ টায় নাস্তা সেরে থুইশা পাড়া/জিনা পাড়ার উদ্দেশ্য রাওনা দিবেন এবং  থুইশা পাড়া/জিনা পাড়ায় গিয়ে ব্যাগ রেখে ১২ টার মধ্য দুপুরের খাবার খেয়ে আমিয়াখুম,ভেলাখুম,সাতভাই খুম, নাইক্ষংমুখ দেখার উদ্দেশ্য রাওনা দিবেন তা না হলে এই  ট্যুর ৩ দিনে শেষ করতে পারবেন না  । আমিয়াখুম যেতে প্রায় ২-২.৫ ঘন্টা সময় লাগবে । আর আমিয়াখুম যেতে ভয়ংকর দেবতা পাহাড় পাড়ি দিতে হবে । দেবতা পাহাড় প্রায় ৯০ ডিগ্রি খাড়া তাই চেষ্টা করবেন হামাগুড়ি দিয়ে হাঁটতে , তাই ভুলেও সাহস দেখিয়ে দাঁড়িয়ে হাঁটতে চেষ্টা করবেন না  । আমিয়াখুম,ভেলাখুম,সাতভাই খুম,নাইক্ষংমুখ ঘুরে থুইশাপাড়া/জিনাপাড়ায় ফিরতে মোটামুটি রাত হয়ে যাবে ।

থুইশাপাড়া/জিনাপাড়া হতে নাফাখুম - রেমাক্রি - থানচি হয়ে ঢাকাঃ
২য় দিন রাতে থুইশা পাড়া/জিনা পাড়ায় থেকে পরের দিন ভোর ৫ টায় নাস্তা সেরে নাফাখুম - রেমাক্রি হয়ে থানচির উদ্দেশ্য রাওনা দিবেন এবং থানচি থেকে চাঁদের গাড়ী রিজার্ভ করে বান্দরবান চলে আসবেন এবং রাতের বাস ধরে ঢাকার উদ্দেশ্য রাওনা দিবেন ।   
debota pahar,paddo jiri,chimbuk hill,nilachol,nilgiri,saatbhaikhum,bhelakhum,bandarban vlog,remakri,raja pathor,bandarban,thanchi,nafakhum,amiakhum,tindu,বান্দরবান,থানচি,পদ্ম ঝিরি,আমিয়াখুম,নাফাখুম,রেমাক্রি,বড় পাথর,জিনাপাড়া,দেবতা পাহাড়,আমিয়াখুম জলপ্রপাত,সাতভাইখুম,ভেলাখুম,শৈলপ্রপাত,চিম্বুক,মিলনছড়ি,নীলগিরি,নীলাচল,থুইসা পাড়া,নাফাখুম জলপ্রপাত,নাইক্ষংমুখ,তিন্দু
ছবি ঃ নাইক্ষংমুখ (naikhongmukh)
ভ্রমনে গেলে যে বিষয় গুলো মেনে চলবেনঃ
১) স্থানীয়দের সাথে ভালো ব্যবহার করবেন, অনেক সম্মান এবং সুবিধা পাবেন।
২) প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়ানোর সময় অনুগ্রহ পূর্বক পলিথিন জাতিয় আবর্জনা ফেলে প্রকৃতির ক্ষতি করবেন না। 
৩) পার্বত্য অঞ্চলের সব জায়গায় মোবাইল নেটওয়ার্ক নাই। থানচি পর্যন্ত টেলিটকের আর রবির নেটওয়ার্ক পাবেন। তিন্দুতে বাঁশের এ্যন্টেনা লাগানো সেট থেকে যোগাযোগ করতে পারবেন। কিন্তু রেমাক্রি পৌঁছালে আপনি একেবারেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বেন এবং বাকি ২ দিন নেটওয়ার্কের বাহিরে থাকতে হবে ।

বান্দরবান,থানচি,পদ্ম ঝিরি হয়ে আমিয়াখুম,ভেলাখুম,সাতভাই খুম ,নাইক্ষংমুখ এবং নাফাখুম ৩ দিনে ঘুরার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের বানানো এই ভিডিওটি দেখতে পারেনঃ




Vlog Tag:
debota pahar,paddo jiri,chimbuk hill,nilachol,nilgiri,saatbhaikhum,bhelakhum,bandarban vlog,remakri,raja pathor,bandarban,thanchi,nafakhum,amiakhum,tindu,বান্দরবান,থানচি,পদ্ম ঝিরি,আমিয়াখুম,নাফাখুম,রেমাক্রি,বড় পাথর,জিনাপাড়া,দেবতা পাহাড়,আমিয়াখুম জলপ্রপাত,সাতভাইখুম,ভেলাখুম,শৈলপ্রপাত,চিম্বুক,মিলনছড়ি,নীলগিরি,নীলাচল,থুইসা পাড়া,নাফাখুম জলপ্রপাত,নাইক্ষংমুখ,তিন্দু

Post a Comment

1 Comments

  1. বান্দবন- থানচি - তিন্দু - রেমাক্রী - নাফাখুম - থুইশা পাড়া/জিনা পাড়া - আমিয়াখুম-ভেলাখুম-সাতভাই খুম - নাইক্ষংমুখ । আবার একই রাস্তায় ফিরে আসা ।
    খরচ টা দেয়া যাবে?

    ReplyDelete