চোখাচুখি
শীতকাল সন্ধ্যাটা খুব তাড়াতাড়ি নেমে আসে। এখন বাজে বিকাল ৫:০ টা। রায়হান মাত্র ছাত্র পড়িয়ে বাসায় আসছিলো।এমন সময় বড় ভাইয়ের
সাথে দেখা। ভাই তার সাথে কথা বলতে বলতে
পিঠার দোকানে নিয়ে গেলো। চল চিতই পিঠা খাই।
এমন সময় এক মেয়ে ও তার বোনকে নিয়ে পিঠা কিনতে আসলো।মেয়েটি দেখতে মন্দ নয়। ঠোটে
লাল লিপস্টিক দিয়েছে। ভালোই লাগছে রায়হানের ।আবার মেয়েটি কিছুক্ষণ পরপর মুচকি মুচকি হাঁসছে। রায়হান
কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলো। মেয়েটির বোন পিঠাওয়ালীকে
বললো দাম কত ভাপা পিঠার উত্তর আসলো ১০ টাকা। এত দাম কেন মেয়েটির মা বললো। মেয়েটিও
পিছন থেকে দাম এত কেন বলে হাঁসতে লাগলে । রায়হান
মেয়েটির দিকে ২.৯৯৪ সেকেন্ডের বেশি সময় ধরে তাকিয়ে রয়েছে। মেয়েটি কিছুটা বুঝতে
পারলো। সে এবার রায়হানের দিকে আড়চোখে
তাকায় আর হাঁসে। রায়হান মনে মনে বলছে ইশ! কি হাসি। রায়হান একটু একটু হাসছে। আর
মেয়েটির দিকে তাকায়। রায়হান কিছুক্ষণের জন্য পিঠা বানাতে দেরী হওয়ায় তার ভাইয়ের
জন্য পাশেই ঝালমুড়ি ওয়ালা থেকে ঝালমুড়ি কিনলো। রায়হান ঝালমুড়ি খেতে খেতে মেয়েটির
অবস্থা দেখছে। একটু চুল ঠিক করে মেয়েটি
আবার নিচে পড়ে যায় চুল আবার ঠিক করে। মেয়েদের এ বিষয়টি তার ভালো লাগে। ছেলেদের তো এমন চুল হয় না পড়বে আবার উঠাবে তা হলে
কেমন যেন উদ্ভট দেখায়। যাই হোক মেয়েটি ১০
ডিগ্রী সেলসিয়াস শীতের মধ্যে সোয়েটার পড়েনি। একটা বেগুনি রঙের কামিজ পড়েছে। ভালোই।
ঝালমুড়ি খেতে খেতে ভাই রায়হানকে বললো এত দেরী
হবে জানলে পিঠা খেতাম না। যাই হোক
রায়হানের এ ব্যাপারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। সে চেয়ে থাকে। মেয়ে তাকায় আর হাঁসে রায়হানও হাঁসে। হাসা-হাসি আর চোখাচোখি চলছে।
এমন সময় পিঠা বানানো হয়ে গেলো রায়হান পিঠা নিতে লাগলে
মেয়েটি পিঠাগুলো তার ভেবে নিতে গিয়েছিল এতে দুইজনের মধ্যে একটু হাতে ধাক্কা লাগলো। দুই জনের চোখাচোখি আবার। রায়হান বললো এটা আমার
চিতই পিঠা আপনার তো ভাপা পিঠা। মেয়েটি
কিছু বললো না তাকিয়ে রইলো। রায়হান ভাইয়ের সাথে চলে যাচ্ছিলো। দূর থেকে পিছনের দিকে
সে ৩ বার তাকালো তাকিয়ে সে একই দৃশ্য তাকিয়ে আছে মেয়েটি এক পলকে যেন। রায়হান ও
হুন্ডায় উঠে পিছনে ফিরে শেষ বারের মতো মেয়েটিকে দেখে নিল।
0 Comments