সীতাকুন্ড মিরসরাই রেঞ্জের সকল দর্শনীয় স্থানসমূহ ভ্রমণ গাইড
সীতাকুণ্ড চট্টগ্রামের একটি উপজেলা । পাহাড়, ঝর্ণা ,সমুদ্র,
আর লেক কি নেই সীতাকুণ্ডে । বাংলাদেশে ঝর্ণার
স্বর্গ বলা হয় মিরসরাই সীতাকুণ্ড অঞ্চলকে। সীতাকুণ্ড বর্তমানে বাংলাদেশের পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়তার
শীর্ষে কেননা এই রুটেই রয়েছে ১০ টি ঝর্ণা। এইসব
ঝর্ণা গুলোর বেশির ভাগ সারা বছর সুপ্ত থাকে এবং বর্ষায় জেগে ওঠে ।
ফেইসবুকের কল্যাণে সীতাকুণ্ডের এই সব পাহাড়, সমুদ্র সৈকত, লেক এবং বেশ কিছু দৃষ্টি নন্দন ঝর্ণা প্রচারের আলোয় আসে । বর্তমানে সীতাকুণ্ড মিরসরাই জোন নিয়ে লোকজনের মধ্যে তৈরি হয়েছে প্রচুর আগ্রহ এবং কৌতূহল । বাংলাদেশ এর মোটামুটি ২৫% ঝর্ণার খনি এই সীতাকুণ্ড মিরসরাই জোনে রয়েছে । এছাড়াও বেশ কিছু সুন্দর লেক এবং সমুদ্র সৈকত রয়েছে এই অঞ্চলে । আমাদের এই ভ্লগের উদ্দেশ্য হল সেগুলার সাথে আপনাদেরকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া । আর ইদানিং কিছু মানুষজন এই অঞ্চলে নতুন নতুন ঝর্ণা/ ট্রেইল পাওয়ার দাবি করে ফেইস বুকে ভিডিও পাবলিশ করছেন , এটা থেকে প্রতিয়মান হয় যে সীতাকুণ্ড মিরসরাই জোনে আমাদের পরিচিত ট্রেইল ছাড়াও নাম না জানা অসংখ্য ঝর্ণা রয়েছে । সীতাকুণ্ডে ২০১১-২০১২ সাল থেকে ইকোটুরিজম গড়ে উঠেছে । প্রতিদিন ট্রেকিং দলগুলো নিয়মিত ঘুরতে আসে সিতাকুন্ডে । ট্রাভেল বাংলাদেশ টিম প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছে আপনাদের সামনে এইসব ভ্রমণ স্পটে যাওয়ার উপায় সম্পর্কে ধারনা দিতে ।
আপনাদের জন্য আমরা আজকে তুলে ধরবো হলো সীতাকুণ্ডের ১০ টি ঝর্নার ট্রেইল সহ সিতাকুন্ড মিরসরাই রেঞ্জের ১৬ টি জনপ্রিয় স্পটে কি কি আছে এবং যাওয়ার পথের রুট সম্পর্কে ।
যেহেতু আমাদের আজকের লেখা সীতাকুণ্ড মিরসরাই নিয়ে তাই প্রথমেই জেনে নেয়া যাক ঢাকা থেকে সীতাকুণ্ড মিরসরাই রেঞ্জে যাওয়ার উপায় সম্পর্কে :
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী যে কোন বাসে সীতাকুণ্ড মিরসরাই রেঞ্জে আসতে পারবেন ভাড়া নিবে ৪৮০ টাকা । কম ভাড়ায় যেতে চাইলে ঢাকা থেকে ফেনির বাসে উঠতে পারেন , ঢাকা থেকে ফেনি পর্যন্ত বাস ভাড়া ২৭০ টাকা । আর ফেনি থেকে চট্টগ্রাম গামী লোকাল বাসে সীতাকুণ্ড মিরসরাই রেঞ্জের যেকোন স্পটে যেতে বাস ভাড়া নিবে ৫০-৬০ টাকা । ট্রেনে যেতে চাইলে সরাসরি ঢাকা থেকে মেইল ট্রেনে সীতাকুণ্ডে যেতে পারেন , ভাড়া নিবে ১২০ টাকা তার পর সীতাকুণ্ড বাস স্ট্যান্ড হতে লেগুনা/ সিএনজি যোগে যেকোন স্পটে জেতে পারবেন মাত্র ৩০ – ৫০ টাকা ভাড়ায় । যেহেতু মেইল ট্রেনে সিট পাওয়া যায় না তাই আরামের কথা চিন্তা করলে রাতের তূরনা নিশিতা ট্রেনে করে ফেনি নামতে পারেন । ঢাকা টু ফেনি ভাড়া নিবে ২৬৫-৬০৪ টাকা । ফেনি রেলওয়ে স্টেসন থেকে ৫০ টাকা রিক্সা ভাড়া দিয়ে যাবেন মহিপাল বাস স্ট্যান্ডে , আর মহিপাল থেকে সীতাকুণ্ড মিরসরাই রেঞ্জের যেকোন স্পটে যেতে বাস ভাড়া ৫০-৬০ টাকা নিবে । যদি আপনি চট্টগ্রাম শহর থেকে আসেন, চট্টগ্রাম শহরের অলংকার মোড় থেকে ফেনি গামী বাসে সীতাকুণ্ড মিরসরাই রেঞ্জে আসতে পারবেন । বাস স্টেসন ভেদে ভাড়া নিবে জন প্রতি ৫০-৮০ টাকা করে ।
১. খৈয়াঝর্নার ট্রেইল :
সীতাকুণ্ড মিরসরাই জোনের এর সবচেয়ে জনপ্রিয় ট্রেইল হচ্ছে খৈয়া ঝর্নার ট্রেইল । খৈয়াঝর্নার ট্রেইল সর্বপ্রথম ২০১৩ সালে প্রচারের আলোয় আসে । ২০১৩ এর জানুয়ারী তে সজল ভাই এর Facebook অ্যালবামের মাধ্যমে বাংলাদেশ এর একমাত্র ১২ Step বিশিস্ট বিশাল এই ঝর্ণা পর্যটকদের নজরে আসে । খৈয়াছড়া ঝর্ণার সবগুলো স্টেপ ছাড়িয়ে আরো অনেকটুকু গেলে শেষ সীমায় গেলে পড়বে খৈয়াছড়া ঝর্ণা লেক । খৈয়াছড়া ঝর্নাকে বাংলাদেশের ঝর্ণা গুলোর রানী বলা হয় তাইতো বর্তমানে খৈয়াছড়া ঝর্ণা বাংলাদেশের সবচাইতে জনপ্রিয় ঝর্ণায় পরিণত হয়েছে ।
খৈয়াছড়া ঝর্ণায় যেভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে গেলে চট্টগ্রামগামী যে কোন বাসে মীরসরাই বাজারের আগে বড়তাকিয়া বাজারে নেমে যাবেন । ঢাকা চট্টগ্রাম হাইওয়ে ধরে বড় তাকিয়া বাজারের রাস্তা হতে খৈয়াছড়া হাইস্কুল এর ঠিক বিপরীত দিকের রাস্তায় পূর্বদিকে ঢুকতে হবে। সেখানে সিএনজি পাবেন , সিএনজি আপনাদের ঝর্নার জিরি পর্যন্ত নিয়ে যাবে ভাড়া নিবে ২০ টাকা , সেখানে গিয়ে যেকোন খাবার হোটেলে দুপুরের খাবার অর্ডার করে ভারী জিনিশ পত্র রেকে পায়ে হাটা শুরু করবেন এরপর গ্রামের পথ শেষে ঝিরিপথ ধরে এগুতে থাকলে একসময় ঝর্ণার দেখা মিলবে । খৈয়াছড়া ঝর্নার সবগুলো Step দেখে ফিরতে পৌনে ১ দিন সময় লাগবে ।
২। নাপিত্তাছড়া ট্রেইল :
সীতাকুণ্ড মিরসরাই জোনের ২য় জনপ্রিয় ট্রেইল হচ্ছে নাপিত্তাছড়া ঝর্নার ট্রেইল । এই ঝর্ণা সর্বপ্রথম প্রচারের আলোয় আসে ২০১৩ সালে অপু নজরুল ভাই এর ফেইসবুক অ্যালবাম এর মাধ্যমে । উজিল্লা ঝর্ণা , কুপিকাটাকুম , বান্দরখুম আর বাঘবিয়ানি এই চমৎকার ৪ টা ঝর্ণা আছে নাপিত্তাছড়া ট্রেইলে। এই ট্রেইলে প্রথমে পড়বে উজিল্লা ঝর্ণা , উজিল্লা ঝর্ণার ঠিক উপরে উঠলে পাবেন কুপিকাটাকুম ঝর্না । কুপিকাটাকুম ঝর্নার ডান পাশের পাহাড় ডিঙ্গালে এরপর আবার ঝিরি ট্রেইল শুরু , এরপর কিছুদুর এগুতে থাকলে বামদিকের ট্রেইলে বাঘবিয়ানি ঝর্ণা পড়ে আর ডানদিকের ট্রেইলে পড়ে বান্দরখুম ঝর্ণা ।
নাপিত্তাছড়া ঝর্ণায় যাওয়ার উপায় : ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী যে কোন বাসে ন-দুয়ারীর হাট নামবেন । ন-দুয়ারী
হাটের পূর্ব দিকের রাস্তা ধরে রেল লাইন পার হয়ে ২০ মিনিটের মত হাটলে পাহাড়ী
নাপিত্তাছড়া ঝর্নার জিরি পেয়ে যাবেন। বাকি পথ ঝিরি ধরে গেলেই হবে। যদি বাসের
ড্রাইভার ন-দুয়ারি হাঁট না চেনে তবে মীরসরাই বাজারে নেমে সিএনজি করে যেতে পারবেন।
মিরসরাই হতে লোকাল সিএনজিতে ন-দুয়ারি পর্যন্ত জনপ্রতি ভাড়া নিবে ১০ টাকা । নাপিত্তাছড়ার সবগুলো Step দেখে ফিরতে ৫-৬ ঘন্টা লাগবে ।
৩। সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক সুপ্তধারা এবং সহস্রধারা- ১ ট্রেইল :
সুপ্তধারা- সহস্রধারা হচ্ছে সীতাকুণ্ড ইকো পার্কের ভিতরে তুলনামূলক সহজ এবং পরিচিত ট্রেইল। ইকো পার্কের ভিতরে দিকনির্দেশক চিহ্নই দেয়া আছে ঝর্ণায় যাওয়ার । ইকো পার্কে প্রবেশ করে কিছু দূর গেলেই সুপ্তধারা ঝর্নায় যাওয়ার জন্য সিঁড়ি পাবেন , সিড়ি দিয়ে নেমে হাতের বামে ২-৩ টা ঝিরি পথ পার হয়ে পাশের পাহাড়ি পথ ধরে প্রায় ৩০ মিনিট হাটলেই ঝর্ণার দেখা পাবেন । সুপ্তধারার আপস্ট্রিম বেশ সুন্দর , অনেকগুলা কুম এবং ছোট ঝর্ণা রয়েছে সেখানে । সুপ্ত ধারা ঝর্ণা থেকে মুল রাস্তায় ফিরে আরো কিছু দূর উপরে গেলে পড়বে সহস্র ধারা ঝর্ণা । সহস্র ধারা ঝর্ণায় যাওয়ার জন্য সিঁড়ি বানানো আছে শুধু সিঁড়ি ধরে নীচে নামলেই পাবেন সহস্র ধারা ঝর্ণা । পায়ে হেটে এই ২ টি ঝর্ণায় ঘুরে আসতে প্রায় ৫-৭ ঘন্টা সময় লাগবে । আর যদি সিএনজি নিয়ে ইকো পার্কে প্রবেশ করেন তবে ৩ ঘন্টায় এই ২টি ঝর্ণায় ঘুরে আসতে পারবেন ।
যাওয়ার উপায় : ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী যে কোন বাসে ইকো পার্কের গেইটে নামবেন । সীতাকুণ্ড ইকো পার্কের গেইট হতে ইকো পার্ক পর্যন্ত সিএনজিতে যেতে জনপ্রতি ভাড়া নিবে ১০ টাকা । আর যদি সিএনজি নিয়ে ইকো পার্কের ভিতরে ঘুরে আসতে চান তবে সিএনজি রিজার্ভ ভাড়া নিবে প্রায় ৫০০ - ৬০০ টাকা ।
৪। সহস্রধারা - ২ (মূল সহস্রধারা) ট্রেইলঃ
সহস্রধারা - ২ ঝর্ণা মোটামুটি পরিচিত এবং সীতাকুণ্ডের সহজতম ট্রেইল, এই ট্রেইলে চমৎকার সহস্রধারা লেক, ওয়াটার ডেম, পুরানো মন্দির এবং সহস্রধারা ২ ঝর্ণা আছে। সহস্রধারা ২ ঝর্ণায় জেতে হলে ছোট দারোগারহাট বাজার থেকে সিএনজিতে উঠতে হবে সিএনজিতে আপনাকে মাটির রাস্তা পর্যন্ত নামিয়ে দিবে ভাড়া নিবে ২০ টাকা । তার পর মাটির রাস্তা ধরে হাঁটতে থাকলে প্রথমে পড়ে সহস্রধারা লেক । লেকের একদম পাশেই বুদবুদকুণ্ড আর পুরানো মন্দির। সহস্রধারা লেকের ডান পাশে ওয়াটার ডেম পাবেন । এবং বামপাশের পথ ধরে এগুলে নৌকা পাবেন , নৌকা যোগে সহস্রধারা- ২ ঝর্ণায় যেতে ভাড়া নিবে জন প্রতি ৪০ টাকা । এই ট্রেইলে সহস্রধারা ছাড়াও আরো ২-৩ টি ঝর্ণা আছে , সবকিছু দেখে ফিরতে ১/২ (আধা) দিন সময় লাগবে ।
যেভাবে যাবেনঃ সহস্রধারা ২ ঝর্ণায় জেতে হলে ঢাকা চট্টগ্রাম হাইওয়েতে ছোট দারোগারহাট বাস স্ট্যান্ড নামতে হবে । ছোট দারোগারহাট বাস স্ট্যান্ড থেকে সিএনজিতে উঠতে হবে সিএনজিতে আপনাকে ঝর্নার জিরির কাছাকাছি মাটির রাস্তা পর্যন্ত নামিয়ে দিবে ভাড়া নিবে ২০ টাকা । সেখান থেকে প্রায় ৪৫ মিনিট হাঁটলে পাবেন সহস্রধারা ২ ঝর্ণা
৫। বড় কমলদহ ট্রেইলঃ
কমলদহ মোটামুটি অপরিচিত ট্রেইল , এই ট্রেইলে বড় কমলদহ ঝর্ণা আছে এবং বড় কমলদহ ঝর্নার আপস্ট্রিমে ৪-৫ টা বড় এবং মাঝারি ঝর্ণা পাবেন আপস্ট্রিমে এ অনেকদুর এগুলে বামে ডানে দুইদিকেই ঝর্ণা আছে। এরমধ্যে বামে অনেকদুর এগুলে পাবেন ছাগল কান্দা ঝর্ণা যার উচ্চতা প্রায় ১২০ ফুট । বড় কমলদহ ঝর্ণার আপস্ট্রিম বর্ষাকালে খুবই বিপদজনক তাই বড় কমলদহ ট্রেইলে বর্ষার শেষের দিকে যাওয়াটাই ভালো । বড় কমলদহ ট্রেইলের সবগুলো আপস্ট্রিমের ঝর্ণাসহ দেখে ফিরতে ১ দিন সময় লাগবে
যাওয়ার উপায় : ঢাকা থেকে গেলে চট্টগ্রামগামী যে কোন বাসে সীতাকুন্ডের বড় দারোগারহাট বাজারে নামতে হবে । এরপর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঢাকার দিকে ১০ মিনিট হেঁটে পূর্ব দিকের ইটের ভাঁটার পাশের রাস্তা ধরে ৩০ মিনিটের মত হাটলে পাহাড়ী জিরি পেয়ে যাবেন। বাকি পথ ঝর্নার ঝিরি পথ ধরে গেলেই হবে।
৬। ঝরঝরি ট্রেইলঃ
ঝরঝরি ট্রেইল মোটামুটি অপরিচিত এবং বেশ লম্বা ট্রেইল , অসাধারন এই ট্রেইলে পাবেন বিচিত্র সব ক্যাসকেড এবং ঝরঝরি ঝর্ণা । ঝরঝরি ঝর্ণার আপস্ট্রিমে এ আছে মূর্তি ঝর্ণা । ঝরঝরি ঝর্ণার আপস্ট্রিমে বেশ ভালই কঠিন তাই বর্ষার শেষের দিকে যাওয়াটাই ভালো । তবে গাইড ছাড়া এই ঝরঝরি ঝর্ণার ট্রেইলে যাওয়া কঠিন কারণ রাস্তা গুলো বেশ এলোমেলো । গাইডের নাম্বার আমাদের ভিডিও ডিসক্রিপসনে পাবেন । ঝরঝরি ঝর্ণার পুরো ট্রেইল দেখে ফিরতে প্রায় ১ দিন সময় লাগবে ।
যাওয়ার উপায় : ঢাকা থেকে গেলে চট্টগ্রামগামী যে কোন বাসে সীতাকুণ্ডের পন্থিছিলা বাস স্ট্যান্ডে নামতে হবে । এরপর পূর্ব দিকের রাস্তা ধরে কিছু দূর গেলে রেললাইন পাবেন , সেখানে রেললাইন ধরে হাতের বামে কিছু দূর গেলে হাতের ডানপাশে মাটির রাস্তা পাবেন । সে মাটির রাস্তা ধরে ৪০-৪৫ মিনিট মত হাটলে পাহাড়ী ঝর্নার ঝিরি পথ পেয়ে যাবেন। বাকি পথ ঝর্নার ঝিরি পথ ধরে গেলেই হবে।
৭। বাড়বকুণ্ড ট্রেইলঃ
বাড়বকুণ্ড ট্রেইল মোটামুটি অপরিচিত ট্রেইল । বাড়বকুণ্ড ট্রেইলে আছে চারপাশে পাহাড় দিয়ে ঘেরা বহু বছরের পুরানো কালভৈরবী মন্দির এবং বাংলাদেশের একমাত্র জ্বলন্ত অগ্নি কুণ্ডলী এবং দেশের একমাত্র গরম পানির ঝর্ণা। এই মন্দিরের ডুকার আগে হাতের ডান পাশের ঝিরি ধরে এগুলে বেশ কয়েকটা দারুন খুম এবং ছোট - মাঝারি বেশ কিছু ঝর্ণা পাবেন ।
যাওয়ার উপায় : ঢাকা থেকে গেলে চট্টগ্রামগামী যে কোন বাসে সীতাকুণ্ড বাস স্ট্যান্ডের পরে বাড়বকুণ্ড বাজারে নামতে হবে। এরপর বাড়বকুণ্ড বাজারের পূর্ব দিকের রাস্তায় সিএনজি পাবেন , বাড়বকুণ্ড বাজারে হতে সিএনজিতে পাকা রাস্তার শেষে নামতে হবে ভাড়া নিবে জনপ্রতি ২০ টাকা । পাকা রাস্তার শেষে মাটির রাস্তা ধরে ১ ঘণ্টার মত হাটলেই কালভৈরবী মন্দির পেয়ে যাবেন। বাকি পথ ঝর্নার ঝিরি পথ ধরে গেলেই হবে। পুরো ট্রেইল দেখে ফিরতে আধা দিন লাগবে ।
৮। হরিণমারা-হাটুভাঙ্গা-সর্পপ্রপাত ট্রেইল :
হরিণমারা-হাটুভাঙ্গা ট্রেইল মোটামুটি অপরিচিত ট্রেইল। অসাধারন এই ট্রেইলে আছে চমৎকার লেক এবং হরিণমারা ঝর্ণা, আছে হাটুভাঙ্গা ঝর্ণা, বাওয়া ঝর্নার ঝিরি মুখ । ছোট কমলদহ বাইপাসের শুরুতে নেমে পূর্বদিকে হাটা শুরু করলে একসময় প্রথমে পড়ে নীলাম্বর লেক, এরপর লেকের পাড় ধরে হাটতে থাকলে কিছুক্ষণ পরে পাবেন একটি উঁচু পাহাড় , সেই পাহাড় ডিঙ্গাতে হয় , পাহাড় পেরিয়ে ঝিরি যেখানটায় লেকে মিশেছে সেখান থেকে শুরু ঝিরিপথ , অনেকটা পথ চলার পর এক জায়গায় ঝিরির উৎস দুটি ভাগ হয়ে যায় , হাতের বামদিকের ঝিরি ধরে কিছুদূর এগুলেই হরিণমারা ঝর্না পড়বে । আর ডানদিকের ঝিরিপথে কিছুক্ষণ হাটার পর আবার দুভাগে ভাগ হয়ে যায় ঝিরি পথ , এবার বামদিকের ঝিরি ধরে এগুলেই পড়বে হাটুভাঙ্গা ঝর্ণা । আর ডানদিকের ঝিরি ধরে এগুলে বাওয়া ঝর্নার ঝিরি মুখ পাবেন ।
যাওয়ার উপায় : ঢাকা থেকে গেলে চট্টগ্রামগামী যে কোন বাসে সীতাকুন্ডের আগে ছোট কমলদহ বাজার আর সেই বাজারের পরের রাস্তা আর বাইপাস রোড যেখানে মিলেছে সেখানে নামবেন। সেখান থেকে রাস্তায় পূর্বদিকে ঢুকতে হবে , এরপর এই রাস্তা ধরে এগুলেই পাবেন নীলাম্বর লেক । হরিণমারা-হাটুভাঙ্গা পুরো ট্রেইল দেখে ফিরতে প্রায় ১ দিন সময় লাগবে ।
৯। বোয়ালিয়া - বাউশ্যা – উঠান - অমরমাণিক্য ট্রেইল :
বোয়ালিয়া ট্রেইল মোটামুটি অপরিচিত ট্রেইল এই ট্রেইল এ আছে চমৎকার বোয়ালিয়া ঝর্ণা, বাউশ্যা ঝর্না , উঠান ঢাল এবং অমরমাণিক্য ঝর্ণা । মিরসরাই বাস স্ট্যান্ডের পূর্ব দিকে ব্র্যাক পোল্ট্রি ফিড কমপ্লেক্সের সামনে ঝর্নার ঝিরি পথ ধরে উত্তরদিকে হাঁটা শুরু করতে হবে , একসময় বড় ঝর্নার ঝিরি পথ পাবেন , ঝর্নার ঝিরি পথে ডানে কিছু দূর গিয়ে বামে আরেকটি ঝর্নার ঝিরি পথ পাবেন সেই পথে ৫ মিনিট হাটলেই বোয়ালিয়া ঝর্ণা দেখা যাবে ।
বোয়ালিয়া ঝর্ণা দেখা শেষে পায়ে চলা পথে ধরে উত্তরমুখী রাস্তায় চলে আবার মূল ঝর্নার ঝিরি পথয় এসে তারপর আবার ঝর্নার ঝিরি পথ ধরে ট্রেকিং শুরু করার অনেকক্ষণ পর হাতের ডানপাশে একটি ঝোপে ঢাকা পড়া ঝিরি চোখে পড়ে, সেই ঝিরি ধরে খানিকটা গেলে চোখে পড়বে বাউশ্যা ঝর্নার ঝিরি পথ । আবার মূল ঝর্নার ঝিরি পথে ব্যাক করে উত্তর দিকে ট্রেকিং শুরু করলে কিছুক্ষন পর উত্তর দিকে ঝর্নার ঝিরি পথে দেখা মিলবে উঠান ঢাল , উঠান ঢাল ধরে সামনে এগুতে থাকলে এক পর্যায়ে পাওয়া যায় ঝোপ ঝাড়ে ঢাকা একটি ঝিরি , এই ঝিরি ধরে সামনে গেলে ১০-১৫ ফিট দুই থেকে তিনটি চমৎকার ক্যাসকেড পাড়ি দিলেই অমরমানিক্য ঝর্ণা পাওয়া যায় । অমরমানিক্য ঝর্ণা ঝিরি ধরে আরও সামনে এগুলে চোখে পড়বে নহাইত্যেকুম । পুরো ট্রেইল দেখে ফিরতে ১ দিন লাগবে ।
যাওয়ার উপায় :
ঢাকা থেকে গেলে মীরসরাই মূল বাজারে নামতে হবে , এবার পূর্বদিক গামী মীরসরাই কলেজ রোডে যাত্রা শুরু করতে হবে , রাস্তার পূর্ব দিকে লোকাল সিএনজিতে করে জনপ্রতি ২০ টাকা ভাড়া দিয়ে প্রায় দেড়-দুই কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে নামতে হয় ব্র্যাক পোল্ট্রি ফিড কমপ্লেক্সের সামনে সেখানে নেমে ঝর্নার ঝিরি পথ ধরে উত্তরদিকে হাঁটা শুরু করতে হয় ।
১০। সোনাইছড়ি ট্রেইল :
সীতাকুণ্ড- মিরসরাই জোনের এর সবচেয়ে কঠিন ট্রেইল হচ্ছে
সোনাইছড়ি ট্রেইল । পুরাপুরি পাথুরে এই
ট্রেইলে তিন্দুর বড়পাথরের মত বড় বড় পাথরের
দেখা পাবেন । এই ট্রেইলে আছে বিশাল এক গিরিখাদ এবং এই গিরিখাদের তলদেশে রয়েছে গভীর
কুম যার নাম স্থানীয় ভাষায় “বাদুইজ্যা কুম” , ট্রেইলে যেতে যেতে দেখতে পাবেন বড়
বড় পাহাড়ের পাথুরে দেয়াল , আর ট্রেইলের শেষে আছে পাথুরে পাহাড়ে সোনাইছড়ি ঝর্ণা
। সোনাইছড়ি ট্রেইলের পুরো ট্রেইল দেখে ফিরতে প্রায় ১ দিন লাগবে ।
যেভাবে যাবেনঃ
সোনাইছড়ি ট্রেইলে যেতে হলে সীতাকুন্ডের আগে/মীরসরাই এর পরে হাদী ফকিরহাট বাজারে নামবেন। সেখান থেকে রাস্তায় পূর্বদিকে ঢুকতে হবে। হাদী ফকিরহাট বাজার হতে ঝর্নার জিরি পর্যন্ত জনপ্রতি লোকাল সিএনজি ভাড়া ১৫ টাকা নিবে। বাকি পথ ঝর্নার জিরি পথ ফলো করবেন তবে গাইড নিয়ে গেলে রাস্তা খুজে পেতে সুবিধা হবে আমাদের ভিডিও ডিসক্রিপসনে গাইডের নাম্বার পাবেন ।
১১। চন্দ্রনাথ পাহাড় :
সীতাকুণ্ড অঞ্চলের সবচেয়ে উঁচু পাহাড় হচ্ছে চন্দ্রনাথ পাহাড় যার উচ্চতা ১১৫৬ ফিট । চন্দ্রনাথ পাহাড়ের চুড়ায় চন্দ্রনাথ মন্দির আছে পাহাড়ে উঠার জন্য হাতের ডানে উঠার সিঁড়ি আছে কিন্তু সিড়িতে উঠা অনেক কষ্টকর বিধায় বাম পাশের রাস্তা দিয়ে বীরুপক্ষ মন্দির হয়ে চন্দ্রনাথ পাহাড়ে যাওয়া অপেক্ষাকৃত সহজ এই পথটা তুলনামুলকভাবে বেশি Adventourous , চন্দ্রনাথ পাহাড়ের শীর্ষে যেতে প্রায় ২-২.৫ ঘণ্টার মত সময় লাগে । চন্দ্রনাথ পাহাড়ের উপর থেকে বে-অব বেঙ্গল সহ সীতাকুণ্ড রেঞ্জের সকল পাহাড় দেখা যায় এবং ভাগ্য ভালো থাকলে এবং বর্ষার সিজন হলে মেঘের রাজ্য হারিয়ে যাবেন । চন্দ্রনাথ পাহাড় দেখে ফিরতে আধা দিন সময় লাগে ।
যাওয়ার উপায় : ঢাকা থেকে
গেলে চট্টগ্রামগামী যে কোন বাসে সীতাকুন্ড বাজারে নেমে একটা সিএনজি নিলেই পাহাড়ের
পাদদেশে পৌঁছিয়ে দিবে । লোকাল সিএনজিতে জনপ্রতি ১৫ টাকা ভাড়া নিবে ।
১৪। মহামায়া লেক :
মহামায়া লেক বাংলাদেশ এর ২য় বৃহত্তম কৃত্রিম লেক। চারপাশে ছোট ছোট টিলার মাঝে লেকটি মহামায়া সেচ প্রকল্পের জন্য তৈরি করা হয়েছে । ১১ কিলোমিটার বিস্তৃত এই লেকে ইঞ্জিন ছালিত নৌকায় লেকের মধ্যে ঘুরার ব্যাবস্তা রয়েছে । মহামায়া লেকে ঘোরা এবং মহামায়া ঝর্ণায় যাওয়ার জন্য বোট ভাড়া ১৫০০-২০০০ টাকা , ১ বোটে ১৫ জন বসা যায় । কায়াকিং করার জন্য বেস্ট যায়গা মহামায়া লেক । লেকের ১১ বর্গ কিলোমটারের মধ্যে মনের মতো করে ঘুরতে পারবেন । ১ ঘন্টা কায়াকিং বোট ভাড়া ৩০০ টাকা (স্টুডেন্ট হলে ২০০ টাকা) । যারা মাছ ধরতে পছন্দ করেন তাদের জন্য মহামায়া লেক হতে পারে আদর্শ যায়গা । মাত্র ৫০০ টাকার বিনিময়ে সারা দিন মাছ ধরতে পারবেন আর ১ জন ব্যাক্তি বরশী পাততে পারবেন যত খুশী । এই লেকে ৪ কেজি পর্যন্ত ওজনের মাছ পাওয়া যায় ।
যেভাবে যাবেনঃ
ঢাকা চট্টগ্রাম হাইওয়েতে ঠাকুরদিঘী বাজারে এসে পূর্ব দিকের রাস্তা দিয়ে সিএনজি অটোরিক্সায় মহামায়া লেকে যেতে হয় ভাড়া নেয় জন প্রতি ২০ টাকা। মহামায়া লেকে প্রবেশ মুল্য ১০ টাকা । মহামায়া লেক দেখে ফিরতে ১/২ (আধা) দিন সময় লাগবে ।
১৫ । বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতঃ
পাহাড়, সমুদ্র, প্রাকৃতিক লেকের নয়ন জুড়ানো জলরাশি আর প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য্য ভরপুর সীতাকুণ্ড । তবে সীতাকুণ্ডের অপার সৌন্দর্য্য সম্বলিত ঝর্না পাহাড় লেকের পাশাপাশি বর্তমানে দর্শনার্থীর কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত। এই সমুদ্র সৈকতের মূল আকর্ষণ হল প্রায় আধা কিলোমিটার দীর্ঘ একটি ব্রীজ ,এই ব্রীজটি জোয়ারের সময় পানিতে ডুবে যায় এবং ভাঁটার সময় আবার জেগে উঠে । আপনি সুমুদ্রে না নেমেই সমুদ্রের উপর হেটে যেতে পারবেন যেটা দর্শনার্থীদের কাছে রোমাঞ্চ কর । পাশাপাশি ভাঁটার সময় একটা সমুদ্র সৈকতও জেগে উঠে যেটা দেখতে কক্সবাজার কিংবা কুয়াকাটার মতো বড় না হলেও এখানে রয়েছে কক্সবাজার কিংবা কুয়াকাটার মতো বড় বড় ডেউ যেটা আপনার মনকে উৎফুল্ল করবে ।
যেভাবে যাবেনঃ চট্টগ্রাম শহর থেকে ২৫ কি.মি. উত্তরে একটি ছোট্ট বাজারের নাম বাঁশবাড়িয়া বাজার। এই বাজারের মধ্য দিয়ে সরু পিচ ঢালা পথে মাত্র ১৫ মিনিটে পৌঁছানো যায় বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র উপকুলে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম গামী যেকোন বাসে উঠে বাঁশবাড়িয়া বাস স্ট্যান্ড নেমে সিএনজি যোগে মাত্র ২০ টাকা ভাড়া দিয়ে সরাসরি বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত জাওয়া যায় ।
১৬। গুলিয়াখালি সমুদ্র সৈকত
কেওড়া বনের ভিতর আচড়ে পড়ছে সমুদ্রের উত্তাল ডেউ এ যেন সমুদ্রে ভাসমান অরণ্য । বনের মাঝ দিয়ে বয়ে চলেছে ছোট্ট একটা খাল। খালের পাশে এদিক ওদিক চারিদিকে ছিটিয়ে আছে কেওরার শ্বাসমূল। সমুদ্রের মাঝখানে উত্তাল ঢেউ । আমরা নরমালি বালুকাময় বিচ দেখেই অভ্যস্ত। কিন্তু এই বিচটি অন্য সব বিচ থেকে একটু আলাদা এক পাশে দিগন্ত বিস্তৃত সাগরের জলরাশি, আরেক পাশে কেওড়া বন। সব মিলিয়ে একটা ম্যানগ্রোভ ম্যানগ্রোভ ভাব, কোথাও আবার সেই ম্যানগ্রোভ চলে গিয়েছে সমুদ্রের অনেকটা ভেতরে। অপর পাশে সবুজ ঘাস বিছানো প্রান্তর এই জায়গাটির নাম গুলিয়াখালি সমুদ্র সৈকত।
বাংলাদেশে অনেক সমুদ্র সৈকত আছে কিন্তু গুলিয়াখালির এই বিচটা একটু আলাদা কারণ জোয়ারের সময় কেওড়া বন পানির নিছে ঢাকা থাকে আর ভাঁটার সময় জেগে উঠে । গুলিয়া খালি সমুদ্র সৈকতের মাটির গঠন মোটেও বিস্তৃত সমভূমি নয়। বরং ভূমির মাঝ দিয়ে খালের মতো এঁকেবেঁকে ঢুকে গেছে সমুদ্রে। সবুজ ঘাসের ফাকে ফাকে স্রোতের জল ঢুকে পড়া বিচটি আপনার নিশ্চই ভালো লাগবে। কেওড়া গাছের বাগান। ছোট লাল কাকঁড়ার ছোটাছুটি ছাড়া খুব নীরব এই সৈকত।
যেভাবে যাবেনঃ সীতাকুণ্ড বাজার থেকে সিএনজিতে পশ্চিমে ৩ কিলোমিটার গেলেই এই বিচ। সীতাকুণ্ড বাজার থেকে সিএনজি রিজার্ভ নিলে ভাড়া নিবে ১৫০ টাকা । আর লোকাল সিএনজি ভাড়া ২০ টাকা ।
১৬। কুমিরা সন্দীপ ঘাঁটঃ
তীরে থেকে নয়, সাগরের উপরে থেকে সাগর দেখা । আমাদের সবার তীরে বসে সমুদ্র দেখার অভিজ্ঞতা কমবেশি সবার থাকলেও সমুদ্রের বুকে বসে সমুদ্রকে চারদিক থেকে দেখার অভিজ্ঞতা খুব কম মানুষেরই থাকে । তাই প্রতিদিন বিকালে হাজারো ভ্রমণ পিপাসুর পদ চারণায় মুখরিত হয় কুমিরা সন্দীপ ব্রিজ । তীর থেকে সমুদ্র অভ্যন্তরে ছুটে চলা এ দৃষ্টনন্দন ব্রিজটির আয়তন প্রায় আধা কিলোমিটার। স্থানীয়দের কাছে এটি কুমিরা ব্রীজ নামে পরিচিত। এ ব্রীজের একেবারে পশ্চিম প্রান্তে গেলে মনে হবে যেন আপনি সমুদ্রের মাঝখানেই দাঁড়িয়ে আছেন। এছাড়া আকাশ পরিস্কার থাকলে পূর্ব দিকে সীতাকুণ্ডের পাহাড়গুলো স্পষ্ট দেখতে পাবেন। এ ব্রীজে গেলে দেখবেন বিশাল বিশাল জাহাজের সারি। সমুদ্রে আরো গভীরে কিংবা বিশাল বিশাল জাহাজগুলোকে আরো কাছ থেকে দেখতে চাইলে সেখানে বোট ভ্রমনের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে বোটগুলো সাধারণত মাছ ধরার কাজে জন্য ব্যবহৃত হয় বলে সবসময় পাওয়া নাও যেতে পারে। বোট চড়ার উপযুক্ত সময় হল বন্ধের দিনগুলো, সেসময় দর্শনার্থীদের চাপ বেশি থাকে বলে পর্যাপ্ত বোট ঘাটে মওজুদ থাকে। বোটে ঘুরতে জন প্রতি ২০ টাকা ভাড়া নেয়।
যেভাবে যাবেনঃ
ঢাকা - চট্টগ্রাম হাইওয়েতে যেকোন বাসে ছোট কুমিরা এসে নামতে হবে সেখান থেকে সিন এনজি যোগে চলে আসবেন কুমিরা ঘাট সিএনজি রিজার্ভ ভাড়া নিবে ১৫০ টাকা ।
চলুন এবার দেখা যাক সিতাকুন্ডে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা :
সীতাকুণ্ড থাকার মত ভালো মানের হোটেল নেই । এখানে মোটামুটি রাত কাটনোর মত কয়েকটি হোটেল রয়েছে, এর মধ্য হোটেল সৌদিয়া , হোটেল জলসা , হোটেল সাইমুন অন্যতম , এই হোটেল গুলোতে সিঙ্গেল রুমের ভাড়া পড়বে ১০০০ টাকা এর ডাবল রুমের ভাড়া পড়বে ১৫০০ টাকার মধ্য পাবেন । খাওয়ার জন্য সীতাকুণ্ড বাজারের আল আমিন হোটেল বেঁচে নিতে পারেন এই হোটেলে ভালো মানের দেশীয় খাবার পাবেন ।
হোটেল সৌদিয়া(সীতাকুণ্ড) - 01991787979,
01816518119
হোটেল জলসা(সীতাকুণ্ড) - 01636515515,01636110110
হোটেল সাইমুন(সীতাকুণ্ড) - 01868000400
সতর্কতাঃ
সীতাকুণ্ড মিরসরাই অঞ্চলে বেশির ভাগ ট্রেইল গুলো বেশ নির্জন । তাই এসব ট্রেইলে গেলে অবশ্যই সাথে করে স্থানীয় কাউকে গাইড হিসেবে নিয়ে যাবেন অথবা অবশ্যই ন্যূনতম ৮-১০ জনের এর দল নিয়ে ঘুরতে যাওয়া উচিত । সীতাকুণ্ড- মিরসরাই জোন টা পুরোপুরি ন্যাচেরাল এবং অনেক সুন্দর তাই এখানে ঘুরতে আসলে দয়া করে চিপসের বিস্কিটের প্যাকেট , পানির বোতল , বিরানির প্যাকেট সহ কোন প্রকার ময়লা ফেলবেন না ।
0 Comments