সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমন গাইড
▶️ সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমন গাইড(Saint Martin Island):
বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ 'সেন্ট মার্টিন' এর অবস্থান বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের জেলা কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায়। মাত্র ৩ বর্গ কিলোমিটারের (পরিধি হিসেবে ১৪ কিলোমিটার এবং ছেঁড়াদ্বীপ সহ ১৮ কিলোমিটার) কিছু বেশি আয়তনের এই দ্বীপটির জনসংখ্যা প্রায় ৮০০০ হাজার। ১৮৯০-১৯০০ সালের দিকে মাত্র ১৩ টি পরিবারের ৫০ জন সদস্য প্রথম এই দ্বীপে বসতি গড়েন। স্থানীয় প্রায় সবাই তাদেরই বংশধর। মধ্যযুগে আরব বনিকরা বানিজ্যের জন্য মালয় উপদ্বীপে যাওয়ার সময় জনমানব শুণ্য এই দ্বীপে বিশ্রাম নিতেন। এই দ্বীপে প্রচুর নারিকেল জম্মে। নারিকেল এবং জাজিরা একত্র হয়ে এই দ্বীপের নাম নারিকেল জাজিরা যা পরবর্তী কালে পরিবর্তন হয়ে নারিকেল জিঞ্জিরা হয়। ১৯২০ সালে প্রকাশিত সিএস রেকর্ড করার সময় ঐ এলাকায় যে ইংরেজ ব্যক্তি জরিপ কাজের দায়িত্বে ছিল, সে ছিল সাধু মার্টিনে ভক্ত। তাই সে নারিকেল জিঞ্জিরা নামের পরিবর্তে সেন্টমার্টিন নামে এ্রই দ্বীপের নাম রেকর্ড ভুক্ত করে।▶️ কি দেখবেন সেন্ট মার্টিনঃ
১ দ্বীপের পশ্চিম পাড়ের বীচ থেকে আপনি হয়তো দেখতে পাবেন আপনার জীবনের সেরা সূর্যাস্ত।
২ সকালে সূর্যোদয় দেখতে দেখতে কাটিয়ে দিতে পারেন পূর্ব বীচে।
৩ দ্বীপের সর্ব দক্ষিনে বেশ কিছু অংশ নিয়ে কোরালের উপর ভর করে তৈরি হয়েছে ছেঁড়া দ্বীপ। বর্ষা মৌসুমে মূল দ্বীপ থেকে ছিঁড়ে যায় বা আলাদা হয়ে যায় বলেই এর নাম ছেঁড়াদ্বীপ। হেঁটে বা বোটে করে যেতে পারেন এই দ্বীপে। মূল দ্বীপ থেকে সকাল ৮ টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ট্রলার, স্পীড বোট যায় এই দ্বীপে।
৩ দ্বীপের সর্ব দক্ষিনে বেশ কিছু অংশ নিয়ে কোরালের উপর ভর করে তৈরি হয়েছে ছেঁড়া দ্বীপ। বর্ষা মৌসুমে মূল দ্বীপ থেকে ছিঁড়ে যায় বা আলাদা হয়ে যায় বলেই এর নাম ছেঁড়াদ্বীপ। হেঁটে বা বোটে করে যেতে পারেন এই দ্বীপে। মূল দ্বীপ থেকে সকাল ৮ টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ট্রলার, স্পীড বোট যায় এই দ্বীপে।
▶️ সেন্টমার্টিন দ্বীপে ডে লং ট্রিপ প্লানঃ
যারা কক্সবাজার থেকে প্যাকেজ নিয়ে সেন্ট মার্টিনে দ্বীপে আসেন তাদের জন্য সমবেদনা। কারন ডে লং প্যাকেজ নিয়ে সেন্ট মার্টিনে গিয়ে ফিরে এসে সেন্ট মার্টিনে যাওয়া
নিয়ে শুধুই আফসোস করবেন এটা নিশ্চিত করেই বলা যায় । তারপরও যারা সময়ের অভাবে ডে লং ট্রিপে সেন্ট মার্টিন যাবেন তারা শিপ
থেকে নেমেই ভ্যান নিয়ে অথবা হেঁটে চলে যাবেন পশ্চিম বীচে। সেন্ট মার্টিনে পানিতে
নামার জন্য পশ্চিম বীচের বিকল্প নেই। যদিও পশ্চিম বীচ পর্যন্ত হেঁটে যেতে ২০ মিনিট সময় লাগে আর ভ্যানে গেলে সামান্য রাস্তা যেতে ভ্যান
ভাড়া ১৫০-২০০ টাকা। পশ্চিম বীচে গিয়েই নেমে পড়বেন সেন্টমার্টিনের স্বচ্ছ পানিতে। মনে রাখবেন ২ টার আগেই পানি থেকে উঠে পড়তে হবে কারন আপনার ফেরার শিপ কিন্তু বিকাল ৩ টায়। তাই ২ টার আগে না উঠে পড়লে আপনি খাওয়ার
সময়টুকুও পাবেন না। তাই ডে ট্রিপে যাওয়া আর সময় নস্ট করা একই কথা । মানে আসলাম, খেলাম, ফিরে
গেলাম আর কি !
▶️ সেন্টমার্টিন দ্বীপে ১ রাত ২ দিনের প্ল্যানঃ
যারা এক দিনের জন্য সেন্ট মার্টিনে যাবেন তাদের জন্য প্রথম পরামর্শ হলো শিপ থেকে নেমে হোটেলে উঠে পড়ুন। ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে ঘণ্টাখানেক বিশ্রাম নিয়ে চলে যান দ্বীপের পশ্চিম বীচে সূর্যাস্ত দেখতে সেখানে গোসলটা সেরে নিবেন আর গোসলের সারতে সারতে আর সমুদ্রে দাপাদাপি করতে করতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে। মনে রাখবেন পশ্চিম বীচে সূর্যাস্ত অসাধারণ। তবে সূর্যাস্তের পরে বেশি দেরি করবেন না। তাড়াতাড়ি হোটেলে ফিরে আসবেন । তবে বীচের যেখানেই থাকুন না কেন নিরাপত্তা নিয়ে তেমন কোন সমস্যা নেই। রাতে চাইলে বার-বি-কিউ করতে পারেন। বার-বি-কিউ করার ক্ষেত্রে পরামর্শ হল স্থানীয় হোটেল গুলোতে না করে কোন রিসোর্টে করা। রিসোর্ট গুলোতে দাম ১০০-২০০ টাকা বেশি নিলেও মাছ ফ্রেশ পাবেন। যত রাত পর্যন্তই জেগে থাকুন না কেন ঘুম থেকে উঠে পড়ুন ভোর ৫ টার মধ্যে। পূর্ব দিক থেকে হাঁটা শুরু করুন। উদ্দেশ্য সেন্টমারটিন দ্বীপের সূর্যোদয় দেখা। সূর্যোদয় দেখে চলে যাবেন খাবারের হোটেলে সকালের নাস্তা সারতে। সকাল ৮টায় ছেঁড়া দ্বীপে যাওয়ার উদ্দেশ্য চলে যাবেন জেটিঘাটে । ছেঁড়া দ্বীপ ঘুরে ১০-১১ টার মধ্যে ফিরে আসবেন । ছ্যাড়া দ্বীপ থেকে ফিরে চলে যাবেন দ্বীপের দক্ষিণ বীচে। দক্ষিণ বীচে গোসল সেরে নিবেন । এবং ২ টার মধ্য হোটেলে ফিরে আসবেন এবং ফ্রেশ হয়ে ৩ টায় শিপ ধরবেন। মনে রাখবেন ২.৩০ এর পরে শিপ উঠতে বেশ বেগ পেতে হয়।
▶️ সেন্টমার্টিন দ্বীপে ২ রাত ৩ দিনের প্ল্যানঃ
২ দিনের ভ্রমণকারীদের জন্যও পরামর্শ হল শিপ থেকে নামতে তাড়াহুড়া করবেন না। আসতে ধীরে শিপ থেকে নেমে হোটেলে উঠে পড়ুন। একটু পরে নেমে পড়ুন কাছাকাছি সমুদ্রের বীচে। ঘণ্টা খানেক দাপাদাপি করে ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে ঘণ্টাখানেক বিশ্রাম নিন । ৫ টা নাগাদ চলে যাবেন পশ্চিম বীচে। আয়েশ করে সূর্যাস্ত দেখতে দেখতে কাটিয়ে দিন প্রথম দিনের সন্ধ্যা। সন্ধ্যার পর চলে যান জেটিতে। ঝিরি ঝিরি বাতাসে জেটিতে বেশ আমুদে একটা ভাব এসে যায়। রাতে চেষ্টা করুন একটু তাড়াতাড়ি ঘুমাতে। পরদিন সকাল ৮ টার মধ্যে নাস্তা শেষ করে চলে যান ছেঁড়াদ্বীপ। ছেঁড়াদ্বীপে গোসলও করতে পারেন। দুপুর নাগাদ ফিরে আসুন মূল দ্বীপে। দুপুরের খাবার খেয়ে বিশ্রাম নিন। আগের দিনের মত বিকেলে পশ্চিম বীচে সূর্যাস্ত দেখে বীচ ধরে উত্তর দিকে হাঁটতে হাঁটতে জেটি পর্যন্ত চলে যেতে পারেন অসাধারণ ভিউ পাবেন। আর রাতে বারবিকিউ করতে পারেন। বারবিকিউ করার ক্ষেত্রে পরামর্শ হল স্থানীয় হোটেল গুলোতে না করে কোন রিসোর্টে করা। রিসোর্ট গুলোতে দাম ১০০-২০০ টাকা বেশি নিলেও মাছ ফ্রেশ পাবেন। যত রাত পর্যন্তই জেগে থাকুন না কেন ঘুম থেকে উঠে পড়ুন ৫ টার মধ্যে মধ্যে। পূর্ব দিক থেকে হাঁটা শুরু করুন। উদ্দেশ্য সূর্যোদয় দেখা। চাইলে হেটেই পুরো দ্বীপ চক্কর দিতে পারেন । এই ক্ষেত্রে আপনার সময় লাগবে প্রায় ৩ ঘণ্টার মত। মনে রাখবেন সেন্ট মার্টিনের দক্ষিণ পশ্চিম অংশ আপনাকে মুগ্ধ করতে বাধ্য। ১০ টা নাগাদ ফিরে আসুন হোটেলে। মুখে কিছু দিয়ে নেমে পড়ুন সমুদ্রে। এই ক্ষেত্রে বেস্ট হবে দ্বীপের দক্ষিণ পাশের বীচে। দক্ষিণ বীচে প্রবাল পাথর কম থাকায় এখানে গোসল করে মজা পাওয়া যায় । এবং ২ টার মধ্য হোটেলে ফিরে আসবেন এবং ফ্রেশ হয়ে ৩ টায় শিপ ধরবেন। মনে রাখবেন ২.৩০ এর পরে শিপ উঠতে বেশ বেগ পেতে হয়।
▶️ সেন্টমার্টিন দ্বীপে যেভাবে যাবেনঃ
ঢাকা থেকে সরাসরি শ্যামলী,
হানিফ, রিলেক্স, সেন্ট
মার্টিন সার্ভিস, বাগদাদ এক্সপ্রেস, গ্রীন
লাইন (এসি) সহ বেশ কিছু বাস টেকনাফ যায়। নন এসি বাসের ভাড়া ৯০০ টাকা আর বেশিরভাগ
এসি বাসের ভাড়া ১৫৫০-২০০০ টাকা। টেকনাফ থেকে বেশ কয়েকটি শিপ ছাড়ে সেন্ট
মার্টিনের উদ্দেশ্যে সকাল ৯ঃ৩০ মিনিটে। যা দ্বীপে পৌছায় ১২ টার মধ্যে। এগুলো ফিরে
আসে বিকেল ৩ টার দিকে সেন্ট মার্টিন থেকে। শিপ ও ক্লাস ভেদে এগুলোর ভাড়া ৫৫০ থেকে
১৭০০ টাকা পর্যন্ত। তবে অফ সিজনে (এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত) শিপগুলো চলে না,
এই সময়টাতে সেন্ট মার্টিন যাওয়ার একমাত্র উপায় হল ট্রলার।
কক্সবাজার থেকে গেলে প্যাকেজ নিয়ে যাওয়াই ভালো। কক্সবাজারে যে
হোটেলে থাকবেন, তাদের
কাছে বললে তারা ব্যবস্থা করে দিবে। কক্সবাজার থেকে টেকনাফ, শিপের
রিটার্ন টিকেট(সেন্ট মার্টিন যাওয়া এবং আসা) এবং আবার টেকনাফ থেকে কক্সবাজার নিয়ে
আসা সব মিলিয়ে খরচ হয় ১০০০-২০০০ টাকা (শিপের ক্লাস ভেদে খরচ বাড়ে-কমে)।
▶️ সেন্টমার্টিন দ্বীপে কিভাবে নিবেন যাওয়ার প্রস্তুতিঃ
বাসঃ
নন এসি বা এসি যাই হোক না কেন সবগুলো বাস মোটামুটি ফকিরাপুল থেকে যাত্রা শুরু করে।
তাই টিকেট কাটার জন্য ফকিরাপুল যাওয়াই ভালো। টেকনাফ গামী প্রায় সবগুলো বাস সন্ধ্যা
৭ - ৯ এর ছেড়ে যায়। সাধারনত ৯ টার পর
টেকনাফ গামী কোন বাস পাওয়া যায় না।
▶️ শিপ বুকিং এর ক্ষেত্রে চলে যেতে পারেন শিপ কোম্পানিগুলোর টিকেট সেলিং সেন্টারে। কেয়ারী সিন্দাবাদ এবং কেয়ারী ক্রুজের অফিস ধানমন্ডিতে। ফোন নাম্বার ০১৮১৭১৪৮৭৩৫।
▶️ এল সি টি কুতুব্দিয়ার অফিস পল্টনে। ফোন নাম্বার ০১৭১৪৬৩৪৭৬২।
▶️ এম ভি ফারহান, কাজল, বে-ক্রুজ, গ্রীন লাইনের (০২৯৩৩৯৬২৩, ০২৯৩৬২৫৮০)
▶️ প্রতিটি শিপ টেকনাফের দমদমিয়া ঘাট থেকে সকাল ৯:৩০ মিনিটে সেন্ট মারটিনের পথে রওনা করে (দেরি হয়না বললেই চলে) আবার ঠিক বিকাল ৩:০০ টায় সেন্ট মারটিন থেকে ফিরে আসে।
▶️ শিপ বুকিং এর ক্ষেত্রে চলে যেতে পারেন শিপ কোম্পানিগুলোর টিকেট সেলিং সেন্টারে। কেয়ারী সিন্দাবাদ এবং কেয়ারী ক্রুজের অফিস ধানমন্ডিতে। ফোন নাম্বার ০১৮১৭১৪৮৭৩৫।
▶️ এল সি টি কুতুব্দিয়ার অফিস পল্টনে। ফোন নাম্বার ০১৭১৪৬৩৪৭৬২।
▶️ এম ভি ফারহান, কাজল, বে-ক্রুজ, গ্রীন লাইনের (০২৯৩৩৯৬২৩, ০২৯৩৬২৫৮০)
▶️ প্রতিটি শিপ টেকনাফের দমদমিয়া ঘাট থেকে সকাল ৯:৩০ মিনিটে সেন্ট মারটিনের পথে রওনা করে (দেরি হয়না বললেই চলে) আবার ঠিক বিকাল ৩:০০ টায় সেন্ট মারটিন থেকে ফিরে আসে।
▶️ সেন্ট মার্টিনে হোটেল বা রিসোর্ট বুকিং:
সেন্টমার্টিনে হোটেল এবং শিপ রিজার্ভ করার কনটাক্ট নাম্বারের বিস্তারিতঃ
যেহেতু
শিপ সেন্ট মার্টিনে পৌছায় ১২ টার মধ্যে, তাই ট্যুরিষ্টদের
রিসোর্ট বা হোটেলে পৌছতে ১২.৩০-১ টা বাজে। আবার অন্য দিকে শিপ সেন্টমারটিন থেকে
ছেড়ে যায় ৩ টায় । প্রায় প্রতিটি হোটেল/রিসোর্টে চেক আওট টাইম ১১-১১.৩০, আর শিপ
ছাড়ে বিকাল ৩ টায় তাই মাঝের এই ৩-৩.৩০ ঘন্টা সময় নিয়ে ঝামেলা থেকেই যায়। আপনারা যা
করতে পারেন, যদি ফিরে আসার দিন সকালে ছেড়াদ্বিপ যাবার
প্ল্যান থাকে, তাহলে সকাল ভোরে ছেঁড়া দ্বীপ চলে যাবেন,
আর যাবার আগে ব্যাগ গুছিয়ে হোটেলের মালিকের কাছে দিয়ে যাবেন। তখন
আপনারা ফিরে এসে এক্সট্রা ওয়াশরুম এ ফ্রেশ হয়ে খেয়ে সহজেই বের হয়ে যেতে পারবেন।
![]() |
ছবিঃ সেন্টমার্টিন দ্বীপে সূর্যোদয় (Sun rise at Saint Martin Island) |
▶️ সেন্টমার্টিন দ্বীপে কি খাবেনঃ
সমুদ্রে গেলে সাধারনত সি ফুড খাওয়াই উত্তম। সেন্টমার্টিন বাজারে, বিচের পাড়ে, যে রিসোর্টে / হোটেলে থাকবেন যেখানেই সুযোগ পাবেন সামুদ্রিক মাছ ট্রাই করবেন। কোরাল মাছ বার বি কিউ বেস্ট, রুপচাদা, রেড স্ন্যাপার, লইট্টা ফ্রাই, টুনা ফিশ,কাঁকড়া ইত্যাদি ট্রাই করতে পারেন তবে খাবার আগে অবশ্যই দামাদামি করে নিতে ভুলবেন না কারণ দামাদামি করে না খেলে অনেক বেশি চার্জ করবে ।
▶️ এই দ্বীপের সবচেয়ে
বিখ্যাত জিনিস হল ডাব। এখানকার ডাবের পানি যেমন মিষ্টি তেমনি সুস্বাদু।
▶️ কোরাল, সুন্দরী পোয়া, ইলিশ, রূপচাঁদা, লবস্টার, কালাচাঁদার
স্বাদ এক কথায় অসাধারণ। যারা ইলিশ খুব বেশি পছন্দ করেন তারা জেনে রাখুন সমুদ্রের
ইলিশ নদীর ইলিশের মত টেস্টি নয়।
▶️ যারা জানুয়ারী বা
ফেব্রুয়ারীতে সেন্ট মারটিন যাবেন তারা অবশ্যই তরমুজ মিস করবেন না। দেখতে খুব একটা
লাল না হলেও খেতে কিন্তু বেশ।
▶️ ছেঁড়া দ্বীপ ভ্রমণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের বানানো এই ভিডিওটি দেখতে পারেন -
▶️ দাম কেমন?
দাম নির্ভর করে সিজিন এর উপর। ফুল সিজিনে ডাব ৪০-৬০ টাকা, কোরাল, কালা চাঁদা, সুন্দরী পোয়া, ফ্লাইং ফিশ, মুরগী ১০০-১৫০ এর মধ্যে পাবেন। রূপচাঁদা, লবস্টার, ইলিশ ইত্যাদি নির্ভর করবে সাইজ এর উপর। (২০০-২৫০০ টাকা পর্যন্ত)।
▶️ ছেঁড়া দ্বীপ ভ্রমণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের বানানো এই ভিডিওটি দেখতে পারেন -
▶️ এবার দেখাযাক সেন্ট মার্টিন’স দ্বীপে ১ রাত থাকলে অর্থাৎ ২ দিন ৩ রাতের জন্য সর্বনিম্ন কত খরচ হতে পারেঃ
ঢাকা থেকে নন এসি বাসে যাওয়া আসার খরচ = ১৮০০ টাকা শীপের সর্বনিম্ম টিকেট = ৫৫০ টাকা (আপ-ডাউন) প্রতিবেলা মেইন ফুড ২ দিন(সর্বনিম্ম ) = ১৬০ * ৩ = ৪৮০ টাকা(ভালো মানের খাবার খেলে আরো বাড়বে) নাস্তা ২ দিন = ১০০ টাকা হোটেল খরচ ১০০০*১ রাত = ৫০০ টাকা ( ২ জন শেয়ার , ১ জন ৫০০ টাকা ) ছেঁড়া দ্বীপে জাওয়ার জন্য ট্রলার ভাঁড়া - ২০০ টাকা সাইকেল ভাড়া প্রতি ঘন্টা = ৫০ টাকা যাওয়া আসার সময় রাতের খাবার = ১৬০*২=৩২০(ভালো মানের খাবার খেলে আরো বাড়বে) ভ্যান ভাড়া = ২০০ টাকা (হোটেল যাওয়া আবার ফেরার দিন শীপে নেয়া আপডাউন - আপনি যদি পূর্ব বীচে থাকেন তাহলে ভ্যান ভাড়া লাগবে না তাই এই খরচ বাদ দিলাম) (বাজেট কম থাকলে ঢাকা থেকে খাবার খেয়ে উঠবেন কারণ যাত্রা বিরতিতে খাবারের মূল্য অনেক বেশি - কুমিল্লায় হোটেলে খেলে সর্বনিম্ন = ৩০০ * ২ = ৬০০ টাকা )
সর্বমোট খরচ ৩ রাত ২ দিনের জন্য = ৪০০০ /= টাকা(ব্যক্তিগত হিসাব বাদে সর্বনিম্ন খরচ) বিঃদ্রঃ- যেকোন প্রকার ময়লা আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। সেন্টমার্টিন যাওয়ার আগে আবহাওয়ার খোজ খবর নিয়ে যাবেন।
▶️ সেন্টমারটিন ভ্রমণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের বানানো এই ভিডিওটি দেখতে পারেন -
ঢাকা থেকে নন এসি বাসে যাওয়া আসার খরচ = ১৮০০ টাকা শীপের সর্বনিম্ম টিকেট = ৫৫০ টাকা (আপ-ডাউন) প্রতিবেলা মেইন ফুড ২ দিন(সর্বনিম্ম ) = ১৬০ * ৩ = ৪৮০ টাকা(ভালো মানের খাবার খেলে আরো বাড়বে) নাস্তা ২ দিন = ১০০ টাকা হোটেল খরচ ১০০০*১ রাত = ৫০০ টাকা ( ২ জন শেয়ার , ১ জন ৫০০ টাকা ) ছেঁড়া দ্বীপে জাওয়ার জন্য ট্রলার ভাঁড়া - ২০০ টাকা সাইকেল ভাড়া প্রতি ঘন্টা = ৫০ টাকা যাওয়া আসার সময় রাতের খাবার = ১৬০*২=৩২০(ভালো মানের খাবার খেলে আরো বাড়বে) ভ্যান ভাড়া = ২০০ টাকা (হোটেল যাওয়া আবার ফেরার দিন শীপে নেয়া আপডাউন - আপনি যদি পূর্ব বীচে থাকেন তাহলে ভ্যান ভাড়া লাগবে না তাই এই খরচ বাদ দিলাম) (বাজেট কম থাকলে ঢাকা থেকে খাবার খেয়ে উঠবেন কারণ যাত্রা বিরতিতে খাবারের মূল্য অনেক বেশি - কুমিল্লায় হোটেলে খেলে সর্বনিম্ন = ৩০০ * ২ = ৬০০ টাকা )
সর্বমোট খরচ ৩ রাত ২ দিনের জন্য = ৪০০০ /= টাকা(ব্যক্তিগত হিসাব বাদে সর্বনিম্ন খরচ) বিঃদ্রঃ- যেকোন প্রকার ময়লা আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। সেন্টমার্টিন যাওয়ার আগে আবহাওয়ার খোজ খবর নিয়ে যাবেন।
▶️ সেন্টমারটিন ভ্রমণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের বানানো এই ভিডিওটি দেখতে পারেন -
#saint_martin
#saint_martin_tour
#saint_martin_vlog
#saint_martin_tour
#saint_martin_vlog
Vlog Tag: travel guide,saint martin island travel guide,saint martin,hotel booking,travel cost,cox’s bazar),narikel jinjira,নারিকেল জিঞ্জিরা,chera dip,সি ফুড,st. martins island সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপ,সেন্টমার্টিন দ্বীপ,saint martin island,cheeradeep,coxs bazar,saint martin tour,way to go,how to go,st martin,saint martin vlog,সেন্টমার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশ,কক্সবাজার,discover bangladesh,st martin island,ছেড়াদ্বীপ
1 Comments
Cosmos মানে নিসর্গ, প্রকৃতি।বিশেষ কারণবশত মানুষ এই মহাবিশ্বের প্রকৃতির অংশবিশেষ।এবং মহাজাগতিক নিসর্গের অন্তর্গত।সেই ধারণা থেকে Cosmos Travel Forum-এর জন্ম।এই ফোরামের সদস্য হতে পারবেন যেকোনো ট্রাভেল এজেন্সির ( Travel Agency ) কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।কিন্তু শর্ত হচ্ছে, তাদের বৈধ লাইসেন্স থাকতে হবে।আর সদস্য হবার মাধ্যমে আপনিও হয়ে যেতে পারেন মহাজাগতিক প্রকৃতির অংশবিশেষ।
ReplyDeleteবাংলাদেশ এশিয়া মহাদেশের অন্তর্গত একটি উন্নয়নমুখী দেশ।সম্প্রতি ট্রাভেল ব্যবসায় যে দেশটি বিশ্বে সুনাম অর্জন করেছে।আমার ইসরাত ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস এজেন্সি ( Esrat Travels & Tours Agency ) সেই অগ্রযাত্রায় সামিল হয়েছে।ট্রাভেল এজেন্সি ছাড়াও আপনি ব্যক্তিগতভাবে COSMOS-এর সদস্য হতে পারবেন।তাছাড়া সার্বিক দিক বিবেচনায় Cosmos-এর সদস্যপদ লাভ একটি গর্ব করার মতো বিষয়।আমরা পৃথিবীর অধিকাংশ Travel Association-গুলোর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছি।
Contact: Mushfiq Borat- 01834513275