Random Posts

ভাটিয়ারী লেক - ভ্রমণ গাইড । Bhatiary Lake Travel Guide

 ভাটিয়ারী লেক - ভ্রমণ গাইড



চট্রগ্রামের ভাটিয়ারীর পাহাড়ের পাদদেশে রয়েছে অসাধারণ এক নৈস্বর্গিক লেক । ভাটিয়ারী বাস স্ট্যান্ড থেকে দুই কিলোমিটার উত্তরে সমতল থেকে অনেক ওপরে এই লেকের অবস্থান। পাহাড়ের পাদদেশে জমে থাকা পানি থেকেই এখানে লেকের উৎপত্তি হয়েছে। সেনা বাহিনীর এলাকা হওয়ায় এলাকাটা অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন, ভালোমানের রাস্তাঘাট , রেস্টুরেন্ট , বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে এখানে আর নিরাপত্তার কোন অভাব নাই।

ভাটিয়ারীতে ক্যাফে ২৪ পার্ক নামে একটি মিনি পার্ক রয়েছে। ক্যাফে ২৪ পার্কটি খুবই অসাধারণ এক‌টি বেড়ানোর জায়গা ,এই পার্কে দর্শনার্থীদের জন্য প্রবেশ ফি ধরা হয়েছে বড়দের জন্য ৫০ টাকা এবং ছোট বাচ্চাদের জন্য ৩০ টাকা।

ভাটিয়ারী লেকে সেনা বাহিনী চালিত স্পীড বোটগুলো ৩০০ টাকায় রিজার্ভ নিয়ে ওদের নির্ধারিত এলাকায় ঘুরে আসা যায় বিশ মিনিটে। প্যাডাল চালিত বোট নিলে ঘন্টায় দিতে হবে ১০০ টাকা, সেক্ষেত্রে নিজ ইচ্ছে মতো বোট নিয়ে ঘুরা যায়। চাইলে নির্ধারিত ফি দিয়ে বড়শি দিয়া মাছ ও ধরা যায়।

যেভাবে যাবেনঃ 

ভাটিয়ারী বাস স্ট্যান্ড থেকে দুই কিলোমিটার গেলেই ভাটিয়ারী লেক শুরু, ঢাকা থেকে প্রথমে যেতে হবে চট্টগ্রামে। এরপর চট্টগ্রাম অক্সিজেন মোড় থেকে লোকাল সিএনজি অটোতে চড়ে বড় দীঘির পাড় নামবেন, ভাড়া ১০ টাকা। সেখান থেকে চান্দের গাড়ি টাইপ লেগুনায় চড়ে ভাটিয়ারি যাবার পথে যেকোন স্থানে নেমে যেতে পারবেন, ভাড়া ২০ টাকা নিবে।


Post a Comment

1 Comments

  1. 🗣️সতর্কবার্তা💯

    👉হাম হাম জলপ্রপাত😐
    🙋🏻‍♂️যারা হামহাম ঝর্ণার প্রাকৃতিক রূপ দেখার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা অবশ্যই এই লিখাটা একটু কষ্ট করে পুরোটা পড়ে নিবেন🙂

    🙋🏻‍♂️মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার রাজকান্দি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গভীরে ২০১০ সালের শেষের দিকে পর্যটন গাইড শ্যামল দেববর্মাকে সাথে নিয় একদল পর্যটক হাম হামের এই অনিন্দ্য জলপ্রপাতটি আবিষ্কার করেন। স্থানীয়দের কাছে এই ঝর্ণা চিতা ঝর্ণা হিসাবে পরিচিত, তাদের মতে এই জঙ্গলে আগে চিতা পাওয়া যেত। প্রায় ১৪০ফিট উঁচু এই ঝর্ণার বুনো সৌন্দর্য দেখার জন্যে অনেক কষ্ট স্বীকার করে সমগ্র বাংলাদেশ থেকে মানুষ ছুটে আসে। শীতকালে তুলনামূলক পানি অনেক কম থাকে তাই বর্ষা কাল হাম হামের বুনো সৌন্দর্য্য দেখার উপযুক্ত সময়

    😰 বাংলাদেশের অনেক টুরিস্ট হামহাম ঝর্ণা এসে কুরমা বনবিট এলাকার লোকাল গাইড সাথে না নিয়ে কলাবনপাড়া পৌঁছে গাইড ছাড়া যেখানে নেটওয়ার্ক থাকে না সেখানে এসে সেন্টিগ্রেট এবং ঝামেলাতে পড়ে যায় অবশ্যই তাদের জন্য ফোন নাম্বার গুলো প্রয়োজনীয় হতে পারে আশা করি💯

    🙄কিভাবে যাবেন
    ঢাকা থেকে হাম হাম যেতে হলে শ্রীমঙ্গল হয়ে যাওয়া সবচেয়ে সুবিধাজনক। কমলাপুর বা বিমান বন্দর রেলওয়ে স্টেশান হতে পারাবত, জয়ন্তিকা বা উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনে করে প্রথমে শ্রীমঙ্গল আসা যায়। শ্রেনীভেদে ভাড়া ১৮০-১০০০ টাকা। ট্রেনে শ্রীমঙ্গল যেতে সময় লাগে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা।

    আর বাসে করে ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গল যেতে ফকিরাপুল অথবা সায়দাবাদ থেকে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ভাড়ায় হানিফ এন্টারপ্রাইজ, শ্যামলী পরিবহন, সিলেট এক্সপ্রেস, এনা ইত্যাদি এসি ও নন এসি বাস পাওয়া যায়। এসি ও নন এসি এসব বাসের ভাড়া ৩৬০ – ৯০০ টাকা। বাসে করে শ্রীমঙ্গল যেতে সময় লাগে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা।

    🙄শ্রীমঙ্গল থেকে হামহাম গাইড🙋🏻‍♂️
    🚖এবং চান্দের গাড়ি🚖
    শ্রীমঙ্গল থেকে সকাল সকাল হামহামে জন্য রওনা দিলে ভাল হয়। প্রথমে আপনাকে একজন লোকাল গাইড এর সাথে কথা বলে নিলে ভালো হয় এছাড়া কলাবন পাড়া পৌঁছানোর আগে লোকাল গাইড এর সাথে গাড়ি বা সিএনজি সম্পর্কে বিস্তারিত আলাপ করে আসবেন কারণ তারা জানে কোন গাড়ির সঠিক ভাড়া কত ভ্রমণ সঙ্গীর প্রত্যেকে বাঁশের লাঠি নিতে ভুল করবেন না, আর অবশ্যই জোঁকের কথা মাথায় রাখবেন। কলাবন পাড়া থেকে হামহাম যাবার দুটো ট্রেইল আছে আছে, ঝিরি পথ ও পাহাড়ি পথ। ঝিরি পথে একটু সময় বেশি লাগলেও এই পথের সৌন্দর্য পাহাড়ি পথের চেয়ে অনেক বেশি। তবে বর্ষাকালে ঝিরি পথে অনেক জোঁক থাকে। কলাবন পাড়া থেকে হামহাম যেতে ২-৩ ঘন্টা লাগবে। তবে পাহাড়ি রাস্তায় হাঁটার অভ্যাস না থাকলে সময় আরও একটু বেশি লাগতে পারে।

    🙄কোথায় থাকবেন
    হাম হাম ঝর্নার আশেপাশে থাকার মতো কোন ব্যবস্থাই নেই। তাই খুব সকালে রওনা দিয়ে দিনে দিনে ফিরে আসাই ভালো। তবে গাইডের সাথে কথা বলে যদি নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন তবে কুরমা বনবিট বা
    এলাকার কোথাও😐
    শ্রীমঙ্গল থাকার জন্য ভালো মানের হোটেল আছে এদের মধ্যে,
    [হোটেল গ্র্যান্ড সুলতান ]{পাঁচ তারকা} নভেম রিসোর্ট , নিগর্স ইকো কটেজ, টি মিউজিয়াম রিসোর্ট, লেমন গার্ডেন রিসোর্ট, টি টাউন রেস্ট হাউস হোটেল প্লাজা , বি :টি: আর :আই ইত্যাদি!

    😐আশেপাশের দর্শনীয় স্থান🏞️
    √ মাধবপুর লেক
    ✓লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান
    ✓চা বাগান
    ✓সাত রঙের চা _নীলকন্ঠ কেবিন

    দৃষ্টি আকর্ষণ🙂
    যে কোন পর্যটন স্থান আমাদের সম্পদ, আমাদের দেশের সম্পদ। এইসব স্থানের প্রাকৃতিক কিংবা সৌন্দর্য্যের জন্যে ক্ষতিকর এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকুন, অন্যদেরকেও উৎসাহিত করুন। দেশ আমাদের, দেশের সকল কিছুর প্রতি যত্নবান হবার দায়িত্বও আমাদের
    😐সতর্কতাঃ
    হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ভাড়া ও অন্যান্য খরচ সময়ের সাথে পরিবর্তন হয় তাই ভ্রমণ গাইডে প্রকাশিত তথ্য বর্তমানের সাথে মিল না থাকতে পারে। তাই অনুগ্রহ করে আপনি কোথায় ভ্রমণে যাওয়ার আগে বর্তমান ভাড়া ও খরচের তথ্য জেনে পরিকল্পনা করবেন। এছাড়া আপনাদের সুবিধার জন্যে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ও নানা রকম যোগাযোগ এর মোবাইল নাম্বার দেওয়া হয়। এসব নাম্বারে কোনরূপ আর্থিক লেনদেনের আগে যাচাই করার অনুরোধ করা হলো। কোন আর্থিক ক্ষতি বা কোন প্রকার সমস্যা হলে তার জন্যে ভ্রমণ গাইড দায়ী থাকবে না🙅

    🙋🏻‍♂️লোকাল গাইড🚶
    ঝরনা সম্পর্কে বা যে কোন গাড়ি সম্পর্কে বা ভাড়া সম্পর্কে জানতে একজন লোকাল গাইডের সাথে কথা বলুন তাই যেকোনো প্রয়োজনে আগে থেকে ফোনে তাদের সাথে কথা বলে রাখবেন তাহলে আর সমস্যায় পড়তে হবে না ইনশাআল্লাহ❤️

    👍বিস্তারিত জানুন
    🙋🏻‍♂️লোকাল গাইড
    📲01717760509
    📲01796014904

    💓ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন❤️
    💓আল্লাহ হাফেজ💓

    ReplyDelete