Random Posts

কেওক্রাডং ভ্রমণ গাইড , যাওয়ার উপায় , কোথায় থাকবেন , কোথায় খাবেন এবং খরচ সমূহ

 কেওক্রাডং ভ্রমণ গাইড

ছবিঃ কেওক্রাডং পাহাড়(কেওক্রাডং পাহাড়ের মালিক লালাবম মাঝখানে)

একদম ধোঁয়াটে পরিবেশ। মুহূর্তে সাদা মেঘে ঢাকা আকাশ। একটু পর চোখের পলকেই কেওক্রাডং পাহাড়ে মেঘেদের হানা। মুহূর্তেই বৃষ্টি, বাতাস, মেঘ সমানে দখলে নিচ্ছে একের পর এক পাহাড়। এ যেন জীবনের অন্যতম সেরা মুহূর্ত। কেওক্রাডংয়ে পা রাখাটা হতে পারে আপনার জীবনের অন্যতম সেরা একটি মুহূর্ত। কেওক্রাডং বাংলাদেশের ৫ম সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ!  এক সময় এটিকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ ধরা হত। তবে আধুনিক গবেষণায় এই তথ্য ভুল বলে পাওয়া যায়। যতটুকু জেনেছি কেওক্রাডং নামটি এসেছে মূলত মারমা ভাষা থেকে। ‘কেও’ অর্থ পাথর, ‘ক্রা’ অর্থ পাহাড় এবং ‘ডং’ অর্থ সবচেয়ে উঁচু। অর্থাৎ কেওক্রাডং মানে সবচেয়ে উঁচু পাথরের পাহাড়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে যার উচ্চতা প্রায় ৩ হাজার ১৭২ ফুট। দেশের সর্বচ্চ পর্বতশৃঙ্গ হলো সাকা হাফং। এটিরও অবস্থান বান্দরবানে।

এই ভ্রমনে ৩ দিনে যেসব স্পটে ঘুরবেনঃ

১) রিঝুক ঝর্না (Rijuk Jhorna)। ২) বগালেক(Boga Lake) । ৩) চিংড়ি ঝর্না(Chingri Jhorna) ।
৪) দার্জিলিং পাড়া(Darjiling Para) । ৫) কেওক্রাডং পাহাড়(Keokradong Peak) । ভ্রমনের উপযুক্ত সময়ঃ বর্ষা এবং শীতে , কস্ট কম করতে চাইলে শীতে যেতে পারেন , তবে বেস্ট ভিও দেখতে চাইলে বর্ষাই বেস্ট ।
 

ঢাকা থেকে বান্দরবান যাওয়ার উপায়ঃ

ঢাকা থেকে বান্দরবান শহরে যাওয়ার জন্য শ্যামলী, ইউনিক, ঈগল, হানিফ, ডলফিন, এস.আলম, সৌদিয়া সহ বেশ কয়েকটি বাস সার্ভিস রয়েছে এই সব বাসের নন এসি সার্ভিসের ভাড়া ৬২০-৬৫০ টাকা, এসি ৯৫০-১৪০০ টাকা । বান্দরবান যেতে সময় লাগবে প্রায় ৮-১০ ঘন্টা আর যদি ট্রেনে যেতে ইচ্ছুক হন তবে চট্রগ্রাম হয়ে তারপর আবার বাসে করে বান্দরবন যাবেন।

চট্টগ্রামের থেকে বান্দরবান যাওয়ার উপায়ঃ

চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট বাসটার্মিনাল থেকে পূরবী ও পূর্বাণী নামে দু’ টি বাস যায় বান্দরবানে যায় , ভাড়া নেয় প্রায়০ টাকা সময় লাগে প্রায় ৩ ঘন্টা।

বান্দরবান হতে রুমা যাওয়ার উপায়ঃ 

লোকাল গাড়ীতে রুমা যাওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে বান্দরবান শহর থেকে হাফেজ ঘোনা বাস স্ট্যান্ডে যেতে হবে  ব্যাটারি চালিত টমটমে চড়ে হাফেজ ঘোনা যেতে ভাড়া নিবে জন প্রতি ২০ টাকা । সময় লাগবে প্রায় ২০ মিনিট হাফেজ ঘোনা বাস স্ট্যান্ড থেকে সকাল ৭ঃ৩০ মিনিটে লোকাল বাসের ১ম ট্রিপ ছেড়ে যায় । এর পর প্রতি ঘন্টায় ১ টি করে বাস যায় রুমা বাজারের উদ্দেশ্য । বান্দরবান শহর থেকে লোকাল বাসে রুমা বাজার যেতে প্রায়  ৪ ঘন্টা সময় লাগে , ভাড়া নেয় জন প্রতি ১২০ টাকা। এ ছাড়া চাঁদের গাড়িতেও বান্দরবান থেকে রুমা যাওয়া যায়। চাঁদের গাড়ীর রিজার্ভ ভাড়া নিবে প্রায় ৩৫০০ থেকে ৪০০০ টাকা সেই ক্ষেত্রে সময় লাগবে প্রায় ৩ ঘন্টাআপনারা চাইলে বান্দরবান হতে সরাসরি বগালেক যাওয়ার জন্য চাঁদের গড়ি রিজার্ভ নিতে পারেন । বান্দরবান থেকে বগালেক পর্যন্ত  চাঁদের গাড়ির রিজার্ভ ভাড়া প্রায় ৫০০০-৬০০০ টাকা(শুধু যাওয়া)। বান্দরবান হতে সরাসরি বগালেক যাওয়া এবং আসা মিলিয়ে চাঁদের গাড়ি রিজার্ভ নিতে পারবেন ৮৫০০ থেকে ১২০০০ টাকার মধ্য তবে দামাদামি করে নিতে হবে । ১ চাঁদের গাড়ীতে ১২ থেকে ১৩ জন বসতে পারবেন ।

রুমা বাজার থেকে বগালেক যাওয়ার উপায়ঃ

রুমা বাজার থেকে বগালেকের দূরত্ব ১৭ কিঃমিঃ , রুমা বাজার থেকে চাঁদের গাড়িতে (রিজার্ভ) বগালেক যেতে পারেন রিজার্ভ ভাড়া নিবে ২২০০ টাকা (শুধু যাওয়া) । ১ চাঁদের গাড়ীতে ১২ থেকে ১৩ জন বসা যায় । রুমা বাজার থেকে চাঁদের গাড়িতে বগালেক যেতে সময় লাগবে প্রায় ১.৫ ঘন্টা। এছাড়া রুমা বাজারে সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত লোকাল চাঁদের গাড়ি পাওয়া যায় বগালেক যাওয়ার জন্য , ভাড়া নেয় জন প্রতি ১০০ টাকা । বিকাল ৪ টার পরে রুমা থেকে বগালেক যাওয়ার অনুমুতি দেয়া হয় না । 

চাঁদের গাড়ীর নাম্বার সমুহঃ জীপ চালক পলাশ -01820400446 , জীপ চালক আবু তৈয়ব – 01836248241,01839558613, জীপ চালক নাসির - 01830316879
 

গাইডের বিষয়ে তথ্যঃ

রুমা বাজারে পৌঁছে গাইড নিতে হবে। ১ জন গাইড ১৫ জন টুরিস্ট নিতে পারেন। আপনারা চাইলে আগে থেকে গাইড কনফার্ম করে যেতে পারেন । সেই ক্ষেত্রে আপনাদের সুবিধার কথা চিন্তা করে আমরা কয়েক জন গাইডের নাম্বার দিয়েছি । গাইডসহ রুমা বাজারের আর্মি চেক-পোস্টে চেক-ইন করে আবারো নাম এন্ট্রি করে পরবর্তী গন্তব্য বগালেকে যেতে হবে। বগালেকে রাতে বারবি কিউ করতে চাইলে গাইডকে দিয়ে রুমা বাজার থেকে মুরগি এবং সকল উপকরণ কিনে নিবেন ।

গাইড ফিঃ ৩ দিন ২৬০০ টাকা । গাইডের থাকা এবং খাওয়া খরচ বহন করতে হবে ট্যুরিস্টদের । 

গাইড রাহাত উল্লাহঃ 01832808618
গাইড শিপু দাদাঃ 01856729355
গাইড প্রকাশ দাদা - 01887659360 
 
যেসব যায়গায় অনুমতি নিতে হবে:

কেওক্রাডং যেতে হলে আপনাকে অনুমতি নিতে হবে ৫ জায়গা থেকে
১. রুমাবাজার গিয়েই সেনাবাহিনীর কাছ থেকে ফরম পূরন করে অনুমতি নিতে হবে
২. রুমা থানা থেকে অনুমতি নিতে হবে ।
৩. বগালেকে ডুকার সময় সেনাবাহিনীর কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে ।
৪. কেওক্রাডং যাবার আগে বগালেকের সেনাবাহিনীর ক্যম্প থেকে অনুমতি নিতে হবে
৫. কেওক্রাডং গিয়ে আবারো ওখানকার সেনাবাহিনীর ক্যম্প থেকে অনুমতি নিতে হবে।
. ফেরার পথে আবার সব যায়গায় এন্ট্রি করে ফিরতে হবে ।
 

এখানে ১টা কথা বলা বাঞ্ছনীয় রুমা বাজারে এসে যে ফর্মে এন্ট্রি করবেন তার মূল্য ১০০ টাকা , ১ ফর্মে ১০ জনের নাম এন্ট্রি করা য়ায় । ১০ জনের চেয়ে বেশি লোক হলে এক্সট্রা আরো ১ টি ফর্ম কিনতে হবে । 

বগালেকে এসেই আর্মি ক্যাম্পে নাম এন্ট্রি করতে হয়। আর্মি ক্যম্প থেকে সবাইকে এক সঙ্গে করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে সবার নিরাপত্তার স্বার্থে কিছু নির্দেশনা দেয়া হবে।  সিদ্ধান্তগুলো হলো, রাত ১০ টার পর কটেজের বাইরে থাকা যাবে না। অপরটি, লেকের পানিতে সাঁতরানো যাবে না ইত্যাদি।

লেকে নামার একটিই স্থান রয়েছে সেখানে গোসল করার জন্য পাকা সিঁড়ি রয়েছে। বগালেকের গভীরতা ১১৫ ফুট। সিঁড়ি কাছ থেকে কয়েক কদম যাওয়ার অনুমতি রয়েছে এখন। আগে সাঁতরানোর অনুমতি ছিল, কিন্তু  লেকের পানিতে ডুবে পর্যটক মারা যাওয়ার ঘটনায় বর্তমানে সাঁতরানোর অনুমতি নেই। 



রুমা হতে বগালেক যাওয়ার পথে রিঝুক ঝর্ণায় ভ্রমনঃ

রুমা বাজার থেকে রিঝুক ঝর্ণায় যেতে চাইলে গাইডকে বলবেন ট্রলার রিজার্ভ করতে , বড় সাইজের ১ টি ট্রলার রিজার্ভ ভাড়া ১৫০০ টাকা । এইসব ট্রলারে ২০ থেকে ২৫ জন উঠা যায় । ছোট সাইজের ট্রলার রিজার্ভ ভাড়া ৮০০ টাকা এই সব ট্রলারে ৬ থেকে ৮ জন উঠা যায়অনেক সময় গাইড সিন্ডিকেট করে বেশি দাম দাবি করে সেই ক্ষেত্রে আপনারা নিজেরা সরাসরি রুমা বাজারের নৌকা ঘাটে চলে যাবেন এবং দর দাম করে নৌকা ঠিক করবেন। রুমা বাজার থেকে ট্রলারে ছড়ে রিঝুক ঝর্ণায় যেতে প্রায় ৩০ মিনিট সময় লাগে । রুমা বাজারে ট্রলার ঠিক করার পরে আপনাদের পুরন করা কাগজ গুলো নিয়ে চলে যাবেন আর্মি ক্যম্পে । আর্মি ক্যম্পে এন্ট্রি শেষে চলে যাবেন রুমা থানায় থানায় । রুমা থানার পাশে ১টি মনোরম লেক রয়েছে যার নাম রুমা থানা লেক ।  থানায় নাম এন্ট্রি করার ফাঁকে কিছুক্ষণ রুমা থানা লেকের উপর নির্মিত ব্রিজে সময় কাটাতে ভুলবেন না । আমি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি এই লেকের সৌন্দর্য দেখলে আপনার মন ভালো হয়ে যাবে । এই লেকের উপর একটি ঝুলন্ত ব্রিজ রয়েছে যেটা খাগড়া ছড়ি বা রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত সেতুর মত দোল খায় । আপনারা এই স্পটে খুব সুন্দর সময় কাটাতে পারবেন । রুমা থানায় নাম এন্ট্রি করার পরে আপনারা রাওনা দিবেন রিঝুক ঝর্নায় যাওয়ার উদ্দেশ্য ইতি মধ্য আপনাদের রিজার্ভ করা ট্রলার আপনাদের নির্দেশনা মত রুমা বাজার থেকে একটু সামনে এবং থানার পরে অবস্তিত একটি ঘাঁটে উপস্তিত থাকবে । আপনারা সব যায়গায় এন্ট্রি করা শেষ করে তারপর রিঝুক ঝর্ণায় যাবেন কারণ যদি কোন কারনে আপনারা ঝর্ণায় বেশি সময় ব্যায় করে ফেলেন তবে বগা লেকে যাওয়ার অনুমুতি পাবেন না । 

বগালেকে কটেজ বুকিংঃ

বগালেক এবং কেওক্রাডং এ থাকার কটেজ ঠিক করে দেবেন গাইড । যদি আপনারা নিজে বগালেক এবং কেওক্রাডং এ থাকার কটেজ কনফার্ম করতে চান তবে আমাদের দেয়া কটেজের নাম্বার সমুহে যোগাযোগ করে বুকিং দিতে পারেন তবে অবশ্যই আমাদের ভিডিও দেখে ১০০% নাম্বার কনফার্ম হয়ে তারপর লেনদেন করবেন । বগালেকের কটেজ গুলোতে থাকতে জন প্রতি দিতে হয় ২০০ টাকা করে । 

বগালেক - আর্মি কটেজঃ 01769291546, বগালেক - লাল জিক বম রিসোর্টঃ 01834709211,01839584064,01706625449 বগালেক - সিয়াম রিসোর্টঃ 01789428227, 01532716987, 01840721590 বগালেক - জিং মুন লিয়ান বম রিসোর্টঃ 01762156796,01828498730 বগালেক - রবার্ট কটেজঃ 01840013495
 

বগালেকে যেখানে থাকবেনঃ

বগালেক থাকার কটেজ ঠিক করে দেবেন গাইড । যদি আপনারা নিজে বগালেক এবং কেওক্রাডং এ থাকার কটেজ কনফার্ম করতে চান তবে আমাদের দেয়া কটেজের নাম্বার সমুহে যোগাযোগ করে বুকিং দিতে পারেন তবে অবশ্যই আমাদের ভিডিও দেখে ১০০% নাম্বার কনফার্ম হয়ে তারপর লেনদেন করবেন । বগালেকের কটেজ গুলোতে থাকতে জন প্রতি দিতে হয় ২০০ টাকা করে । চেষ্টা করবেন লেক পাড়ের কটেজ গুলোতে থাকতে । বগালেকের সবচেয়ে সেরা কটেজ জিংমুন লিয়ান বমের লেক পাড়ের রিসোর্ট কারন এই রিসোর্ট বগালেকের ঘাটের কাছে , এছাড়া রবার্ট দাদার ১ টি কটেজ রয়েছে লেক পাড়ে । আর বগালেকে আরেকটি সুন্দর কটেজ হচ্ছে বগালেক আর্মি কটেজ । এছাড়া সিয়াম দিদির বেশ কয়েকটি লেক পাড়ের কটেজ রয়েছে ।

আর্মি কটেজঃ 01769291546, লাল জিক বম রিসোর্টঃ 01834709211,01839584064,01706625449 সিয়াম রিসোর্টঃ 01789428227, 01532716987, 01840721590 জিং মুন লিয়ান বম রিসোর্টঃ 01762156796,01828498730 রবার্ট কটেজঃ 01840013495

বগালেকের খাবারঃ

বগালেকে টাকা খরচ করলেও শহরের ভালো রেস্তরা গুলোর মত খাবার পাবেন না । তবে এখানে  পাহাড়ি মুরগি, ডাল, আলু ভর্তা আর কচি বাঁশের সবজি দিয়ে পেট ভর্তি খেতে পারবেন। এখানকার খাবারে অসাধারণ স্বাদ! পাহাড়িদের তরকারিতে ব্যবহার করা হয় কাঁচা হলুদ, পাহাড়ি মরিচসহ পাহাড়ি সব কিছু। এই খাবারে কোনো ভেজাল নেই । পাহাড়িরা নিজেদের উৎপাদিত পণ্য দিয়ে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করে , তাই পাহাড়ী খাবার  তৃপ্তি করে খেতে পারবেন। বগালেকে খাবারের জন্য সিয়াম দিদির খাবার হোটেল বেস্ট , সিয়াম দিদির হোটেলে খেতে চাইলে আগে থেকে ফোন করে খাবারের অর্ডার করে রাখতে হয় । সিয়াম দিদির মোবাইল নাম্বার - 01789428227, 01532716987, 01840721590

বগালেকে খাবারের মুল্য তালিকাঃ

ভাত ,ডাল,ডিম,সবজি = ১৫০ টাকা

ভাত ,ডাল,পাহাড়ি মুরগি,সবজি=২২০ টাকা 

ভাত ,ডাল,সোনালী মুরগি/লাল মুরগি,সবজি=২০০ টাকা 

ভাত ,ডাল,ব্রয়লার মুরগি,সবজি=১৮০ টাকা

সকালের নাস্তা -  খিছুড়ি ,ডিম ভাজি,ভর্তা,বেগুন ভাজি =১২০ টাকা 

বগালেক থেকে চিংড়ি ঝর্ণাঃ

আপনারা যদি বগালেক যান তবে সেখানে একরাত থেকে পরেরদিন সকালে কেওক্রাডং যাওয়ার জন্য রাওনা দিতে পারেন। পরের দিন সকালে নাস্তা সেরে বগালেক পাড়ার আর্মি ক্যম্পে এন্ট্রি করে রাওনা রাওনা দিবেন কেউক্রাডং এর উদ্দেশ্য চেষ্টা করবেন খুব ভোরে রাওনা দিতে , কারন একধম ভোরে রোধ কম থাকার কারণে হাঁটতে কস্ট কম হয় । কেউক্রাডং রাওনা দেয়ার সময় অবশ্যই বাঁশ কিনে নিবেন প্রতি পিস বাঁশ ১০ টাকা নিবে । বগালেক থেকে প্রায় ৩০ মিনিট হাঁটলে লতা ঝর্ণা এবং আরপি ঝর্ণার দেখা পাবেন এই ঝর্ণা গুলো ছোট হলেও রিফ্রেশ হয়ে খাবার পানি সংগ্রহ করার জন্য যথেস্ট । আর বগালেক থেকে প্রায় ১ ঘন্টা হাঁটলে আপনারা চিংড়ি ঝর্ণার দেখা পাবেন ।

দার্জিলিং পাড়াঃ

চিংড়ি ঝর্ণা থেকে আবার পাহাড়ি পথ ধরে প্রায় দেড় ঘণ্টা হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে যাবেন দার্জিলিং পাড়ায়। চারপাশে পাহাড়ে ঘেরা জায়গার মাঝখানে মূল দার্জিলিং পাড়ার অবস্থান। অসম্ভব সুন্দর একটি গ্রাম। এই গ্রামটিকে বলা হয় বাংলাদেশের সবচাইতে পরিষ্কার পরিছন্ন গ্রাম । দার্জিলিংপাড়া থেকে খুব ভালো ভাবে দেখা যায় কেওক্রাডং পাহাড়। দার্জিলিং পাড়া থেকে কেওক্রাডং পর্যন্ত হেটে যেতে সময় লাগে প্রায় ৪৫ মিনিট । যতই কেওক্রাডংয়ের কাছাকাছি যাবেন ততই দেখতে পাবেন মেঘ পাহাড়ের মিতালি। একটু ক্লান্তি নেমে আসলেও প্রকৃতির রূপ যেন থামতে দিতে চাইবে না। আপনারা চাইলে দার্জিলিং পাড়াতেও থাকতে পারেন ।

দার্জিলিং পাড়ায় কটেজ বুকিং , ক্লাউড হিল রিসোর্ট দার্জিলিং পাড়াঃ 01535449414(মেঘলা দিদি),01863110623,01531701655

দার্জিলিং পাড়ায়  খাবারঃ

ভাত ,ডাল,ডিম,সবজি = ১৫০ টাকা
ভাত ,ডাল,পাহাড়ি মুরগি,সবজি=২৫০ টাকা 
ভাত ,ডাল,সোনালী মুরগি,সবজি=২৪০ টাকা 
ভাত ,ডাল,ব্রয়লার মুরগি,সবজি=২৩০ টাকা 
ভাত ,ডাল,সবজি,পাহাড়ি মুরগির ব্যাম্বো চিকেন=৩০০ টাকা 
ভাত ,ডাল,সবজি,লাল মুরগির ব্যাম্বো চিকেন=২৯০ টাকা 
ভাত ,ডাল,সবজি, ব্রয়লার মুরগির ব্যাম্বো চিকেন,সবজি=২৮০ টাকা

কেওক্রাডং পাহাড়ে কটেজ বুকিংঃ

কেওক্রাডং এর কটেজ গুলোতে থাকতে জন প্রতি দিতে হয় ৩০০ টাকা করে । কেওক্রাডং পাহাড়ে ১০ টি কটেজ রয়েছে যেখানে প্রায় ২২০ জন থাকার ব্যাবস্তা রয়েছে । বর্তমানে কেওক্রাডং পাহাড়ে ১টি ৪ তলা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে যার নীচ তলায় থাকবে সাইক্লোন সেন্টার এবং উপরে থাকবে কটেজ । কেওক্রাডং পাহাড়ের কটেজ গুলো মূলত লালাবম ভাড়া দিয়ে থাকেন ।কেওক্রাডং পাহাড়ের মালিক লালাবমের মোবাইল নাম্বার - 01880320931, 01867997883, 01531332182

কেওক্রাডং পাহাড়ে খাবারঃ

সকালের নাস্তা -  খিছুড়ি ,ডিম ভাজি =১০০ টাকা 
ভাত ,ডাল,ডিম,সবজি = ১৫০ টাকা
ভাত,ডাল,ডিম/সবজি = ১৩০ টাকা
ভাত ,ডাল,ব্রয়লার মুরগি,সবজি=২০০ টাকা 
ভাত ,ডাল,খাশি/গরু কারি,সবজি = ২৫০ টাকা
মুরগির কারি ১ জনের =১২০ টাকা
খাশি/গরু কারি ১ জনের= ১৫০ টাকা 
ডিম ১ পিস =৩০ টাকা

 

সংক্ষিপ্ত ভাবে আমাদের খরচের হিসাবঃ

ঢাকা - বান্দারবান - ঢাকা বাস ভাড়া নন এসি – ৬২০x২ = ১২৪০ টাকা। চাঁদের গাড়ী ৩ দিনের জন্য রিজার্ভ বান্দরবান টু বগালেক ৯০০০/১৪= জনপ্রতি ৬৪৩ টাকা ।
গাইড ৩ দিন - ২৬০০/১৪ = জনপ্রতি ১৮৬ টাকা ।
গাইডের থাকা খাওয়া খরচ ১৪৭০/১৪ = জনপ্রতি ১০৫ টাকা রুমা বাজারে পর্যটকদের এন্ট্রি ফর্ম ২০০ টাকা (২ টি ফর্ম ) = ২০০/১৪= জনপ্রতি ১৫ টাকা
রিঝুক ঝর্ণায় যেতে নৌকা ভাড়া ১৫০০/১৪=জনপ্রতি ১০৮ টাকা
বগালেকে কটেজ ভাড়া - ২০০ টাকা জন প্রতি কেওক্রাডংএ কটেজ ভাড়া - ৩০০ টাকা জন প্রতি ৩ দিনে জন প্রতি খাওয়া খরচ (৯ বেলা)= ১৩৭০ টাকা জন প্রতি

আমরা ১৪ জন সদস্য ছিলাম এবং আমাদের জন প্রতি খরচ হয়েছে = ৪১৬৭ টাকা । আপনাদের সদস্য সংখ্যা কম হলে খরচ বাড়বে । আমার মতে অনেক বাজেট ট্রাভেলার আছেন যারা ৩৫০০ থেকে ৩৮০০ টাকায়ও ঘুরে আসেন। আমরা খাওয়া দাওয়াতে আমরা কোন ছাড় দেইনি। তাই ৪১৬৭ টাকা লেগেছে।

বিঃদ্রঃ শীতের সিজনে চাঁদের গাড়িতে ছড়ে সরাসরি কেউক্রাডং যাওয়া যায় তবে যাওয়া নির্ভর করে রাস্তা ভালো থাকার উপর ।

 

ট্র্যাভেল বাংলাদেশ টিম সব সময় চেষ্টা করছে আপনাদের কাছে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করতে। যদি কোন তথ্যগত ভুল কিংবা স্থান সম্পর্কে আপনার কোন পরামর্শ থাকে মন্তব্যের ঘরে জানান অথবা আমাদের মেইল করুন chsaiful@gmail.com। আমরা ঠিক করে নিবো ।

দৃষ্টি আকর্ষণ : আমাদের পর্যটন স্পট গুলো আমাদের দেশের পরিচয় বহন করে এবং এইসব পর্যটন স্পট গুলো  আমাদের দেশের সম্পদ। এইসব স্থানের প্রাকৃতিক কিংবা সৌন্দর্য্যের জন্যে ক্ষতিকর এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকুন। আর ভ্রমনে গেলে কোথাও ময়লা ফেলবেন না । দেশ আমাদেরদেশের সকল কিছুর প্রতি যত্নবান হবার দায়িত্বও আমাদের।


সতর্কতাঃ হোটেলরিসোর্টযানবাহন ভাড়া সহ অন্যান্য খরচ সময়ের সাথে পরিবর্তন হয় তাই ট্র্যাভেল বাংলাদেশে প্রকাশিত তথ্য বর্তমান সময়ের সাথে মিল নাও পেতে পারেন। তাই অনুগ্রহ করে আপনি ভ্রমণে যাওয়ার আগে বর্তমান ভাড়া ও খরচের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে পরিকল্পনা সাজাবেন। এছাড়া আপনাদের সুবিধার জন্যে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে হোটেলরিসোর্টযানবাহনের জন্য যোগাযোগের নাম্বার দেওয়া হয়। এসব নাম্বারে কোনরূপ আর্থিক লেনদেনের আগে ভালো ভাবে যাচাই করার অনুরোধ করা হলো। কোন প্রকার আর্থিক ক্ষতি বা কোন প্রকার সমস্যা হলে তার জন্যে ট্র্যাভেল বাংলাদেশ দায়ী থাকবে না। 

 

 

 Vlog Tag: #Boga_Lake #keokradong #Ruma_Bandarban,কেওক্রাডং ট্রেকিং,keokradong,কেওক্রাডং,বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর পাহাড় চূড়া,bandarban,ruma,বগালেক টু কেওক্রাডং ট্রেকিং,বান্দরবান,কেওক্রাডং অভিযান,মেঘে ঢাকা কেওক্রাডং,বগালেক,চিংড়ি ঝর্ণা,দার্জিলিং পাড়া,কেওক্রাডং ভ্রমণ,রুমা,bandarban vlog,highest hill of bangladesh,লালাবম,Lalabom,Travel Bangladesh,darjeeling para,বাংলাদেশের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন গ্রাম,bogalake to keokradong,boga lake,chingri waterfall

 

 

  
  

Post a Comment

0 Comments