Random Posts

কুয়াকাটা ভ্রমণ গাইড | Kuakata sea beach travel guide

সাগর কন্যা  কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ গাইড

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের অপরূপ সুন্দর একটি সমুদ্র সৈকত প্রায় ১৮ কিঃলোঃ দৈর্ঘ্যের কুয়াকাটা বাংলাদেশের সেরা সমুদ্র সৈকত গুলোর একটি । কুয়াকাটা হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র সমুদ্র সৈকত যেখানে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দুটোই দেখা যায়।

কুয়াকাটা গেলে যে সব স্পটে ভ্রমণ করবেনঃ

- কুয়াকাটা বৌদ্ধ মন্দির ।

- ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী নৌকা

- কুয়াকাটার কুয়া 

- কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান

- কাউয়ার চর

- গঙ্গামতীর চর

- ঝাউ বন

- লাল কাঁকড়ার চর

- রূপালী দ্বীপ বৌদ্ধ বিহার

- মিষ্টি পানির কূপ

- রাখাইন পল্লী বার্মিজ মার্কেট

- শুঁটকি পল্লী

- ঝিনুক বীচ 

- লেবুর চর 

- তিন নদীর মোহনা 

- সুন্দরবনের পূর্বাংশ(ফাতরার বন)

- লাল কাঁকড়ার চর

কীভাবে কুয়াকাটা যাবেনঃ

সড়ক নদী পথে ঢাকা থেকে কুয়াকাটা যাওয়া যায়। লঞ্চে ঢাকা থেকে পটুয়াখালী কিংবা বরিশাল হয়ে কুয়াকাটা যাওয়া যায়। আর বাসে যেতে চাইলে সরাসরি ঢাকা  কুয়াকাটা যাওয়া যায়। তবে সহজ আরামের কথা চিন্তা করলে কুয়াকাটা যেতে নদী পথই উত্তম। ঢাকার লঞ্চ টার্মিনাল থেকে লঞ্চে করে পটুয়াখালী অথবা বরিশাল গিয়ে সেখান থেকে বাসে করে কুয়াকাটা যাওয়া যায়

ঢাকা থেকে লঞ্চে পটুয়াখালী হয়ে কুয়াকাটাঃ

প্রতিদিন বিকেলে সদরঘাট থেকে  সুন্দরবন-সুন্দরবন-১১, এম ভি আর খান-,কুয়াকাটা-, এম ভি প্রিন্স আওলাদ-, কাজল- প্রভৃতি লঞ্চ পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এইসব লঞ্চে প্রথম শ্রেণীর সিঙ্গেল কেবিন ভাড়া করতে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা , ডাবল কেবিন ভাড়া ১৮০০ থেকে ৩৫০০ টাকা এবং ডেকের ভাড়া ২০০-৩০০ টাকা হয়ে থাকে। এই সব লঞ্চ পটুয়াখালীর বিভিন্ন টার্মিনালে বিরতি দেয় আমতলী লঞ্চ ঘাট অথবা পটুয়াখালী লঞ্চ ঘাট হয়ে যায় এমন লঞ্চে গেলে সুবিধা পাবেন আমতলী ঘাঁটে নেমে সেখানকার বাসস্ট্যান্ড থেকে ৫০-৭০ টাকা ভাড়ায় কুয়াকাটা যাওয়া যায় আর পটুয়াখালী লঞ্চ ঘাট থেকে অটোতে করে পটুয়াখালী বাস স্ট্যান্ড গিয়ে বাসে চড়ে যেতে হবে কুয়াকাটা। সময় লাগবে প্রায় ২ঘন্টা , লঞ্চ ঘাট থেকে বাস টার্মিনাল অটো ভাড়া  ২০ টাকা (জন প্রতি),পটুয়াখালী টু কুয়াকাটা বাসের টিকেট-যাওয়ার সময় কাউন্টার থেকে কাটতে হয় তাই ১৪০ টাকা আর আসার সময় দামাদামি করে ১২০ টাকায় যেতে পারবেন। 

ঢাকা থেকে লঞ্চে বরিশাল হয়ে কুয়াকাটাঃ

ঢাকা সদরঘাট থেকে সন্ধ্যার পর বরিশালের উদ্দেশ্যে একাধিক লঞ্চ ছাড়ে এবং সকালে বরিশাল পৌঁছায়। লঞ্চের ডেকে জনপ্রতি ভাড়া ১৫০-২০০ টাকা । সিঙ্গেল ও ডাবল কেবিন শ্রেনী ভেদে ৮০০ থেকে ৩,৫০০ টাকার মধ্য কেবিন পাবেন। বরিশাল লঞ্চঘাট থেকে রূপাতলি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে কুয়াকাটার বাসে উঠতে হয়।  ভাড়া নেয় প্রায় ১৮০-২৫০ টাকা । সময় লাগে প্রায় ৩ ঘন্টার মত ।

বাসে ঢাকা থেকে কুয়াকাটাঃ

ঢাকার গাবতলী বাস স্ট্যান্ড থেকে দ্রুতি পরিবহন, সুরভী পরিবহন এবং সাকুরা পরিবহনের বাস করে কুয়াকাটা যাওয়া যায়। এইসব বাসের  ভাড়া প্রায় ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা হয়ে থাকে।

কুয়াকাটা কোথায় থাকবেনঃ

কুয়াকাটায় পর্যটকদের থাকার জন্য বিভিন্ন মানের আবাসিক হোটেল পাবেন । মোটামুটি মানে থাকার জন্যে ৩০০-১০০০ টাকায় হোটেল পাবেন । মান ও শ্রেনী অনুযায়ী ভালো মানের হোটেলে পাবেন ২০০০-৫০০০ টাকায় । সিজন ও সরকারি ছুটির দিন বাদ দিয়ে গেলে আগে থেকে হোটেল বুক করার প্রয়োজন হয় না , কুয়াকাটা গিয়ে দেখে শুনে আর দামাদামি করে হোটেল নিতে পারবেন । হোটেল তাজোয়ার প্যালেস, খাসপুকুর সংলগ্ন,কুয়াকাটা। ম্যানেজার-০১৭৫৭৬৮৩০৩৭,বীচ থেকে একটু দূরে হলেও বীচে আসা যাওয়ার জন্যে ভ্যান দেয়। নতুন হয়েছে, পরিবেশ ভালো এবং নিরিবিলি। বড় রুম (২ জনের বেড)- প্রতিরুম ৬০০ টাকা ( ভ্যান ভাড়া সহ) 

ভাড়া সহ বনানী ডিলাক্স: ৫০০০ টাকা (এসি টুইন) এবং কাপল: ৩৫০০ টাকা(এসি টুইন) এবং কাপল: ১৮৫০ টাকা ফোন: +880442856042 মোবা: 01713674192

গ্রেভার ইন লাক্সারী: ৫০০০ টাকা(এসি প্রিমিয়াম), এসি সুপার ডিলাক্স: ৩৫০০ টাকা, ফোন: +88044285 মোবা: 01748723557, 01833318380 

হোটেল নীলাঞ্জনা ফ্যামিলি: ৪০০০ টাকা( এসি) কাপলবেড: ৩৫০০ টাকা, টুইন বেড: ২০০০ টাকা ফোন: +880442856 মোবা: 01712927904 

সী ভিউ ইন্টা: ফোর বেড: ৩০০০ টাকা, এসিথ্রী বেড: ২০০০ টাকা, কাপল বেড: ১৫০০টাকা, ডর্মেটরি ৮ বেড: ৩৫০০ টাকা মোবা:01716040391, 01728196739

বীচ হ্যাভেন ফ্যামিলি: ৩৫০০ টাকা,এসিকাপল বেড: ৩০০০/২৫০০/২২০০ টাকা, এসিটুইন বেড: ২২০০ টাকা, এসিটু ইন: ১৭৫০ , সিঙ্গেল: ১২৫০ টাকা, এসি ফোন: +880442856108 মোবা: 01730021341

কুয়াকাটা ইন ইন্টা: ফ্যামিলি থ্রী বেড: ৩৬০০ টাকা, এসিটুইন বেড: ৩০০০ টাকা, এসিটুইন বেড: ২০০০ টাকা ফ্যামিলি থ্রী বেড: ২৪০০ টাকা ফোন: +880442856031 মোবা: 01750008177, 01555012500

বিশ্বাস সী প্যালেস থ্রী বেড: ২৫০০ টাকা, এসিথ্রী বেড: ১৬৫০ টাকা  কাপল বেড: ১২৫০ টাকা টুইন: ১২৫০ টাকা মোবা: 01730093356, 01730093363

সৈকত জনটু ইন বেড: ৩৫০০ টাকা, এসি,টু ইন বেড: ২০০০ টাকা , কাপল বেড: ২৫০০ টাকা , মোবা: 01716214428,01713954908

ওয়েস্টার্ণ ফ্যামিলি বেড: ১২০০ টাকা সিঙ্গেল থ্রী বেড: ১৫০০ টাকা মোবা: ০১৯৬৬১১৬৮১২, ০১৭৬০৩১৭৯৬২

বেঙ্গল গেস্টহাউস ভিআইপি: ৪০০০ টাকা,এসি ফ্যামিলি বেড: ১৫০০ টাকা , টু ইন বেড: ১৫০০ টাকা মোবা:01811445130-31

কটেজ সুইট হোম টুইন বেড: ১২০০ টাকা , ফ্যামিলি রুম: ২০০০ টাকা , মোবা: 01722061105, 01912449147

যমুনা গেস্টহাউস ডাবল ১০০০ টাকা , কাপল বেড: ৬০০ টাকা মোবা:0172978219,0171364355,1712444518

কুয়াকাটা গেস্টহাউস জন ডাবল ডিলাক্স: ৩০০০ টাকা, এসিডাবল থ্রী বেড: ১৮০০ টাকা ,কাপল বেড: ১২০০ টাকা, সিঙ্গেল বেড: ১০০০ টাকা , ডর্মেটরি: 7 বেড: ৩৫০০ টাকা  মোবা:01719589752 ফোন:+880442856024

হোটেল সাগর ডাবল লাক্সারী: ২২৫০ টাকা ডাবল (কমন), ৮৫০ টাকা , কাপল বেড ৯৫০ টাকা , কাপল বেড (কমন): ৭৫০ টাকা , মোবা:01716762601,01558378109,01712485808 

কুয়াকাটার স্পট সমুহে ঘুরতে বাইক ভাড়াঃ

প্রতি বাইক ৭০০ টাকা (দামাদামি করে ৫০০ এর মধ্যে নিতে পারবেন)। আলম ভাই  ০১৭২১৭৯১৪২৩ শাহজালাল ভাই ০১৭৮২৮২৭৭৩৭

খাবার খরচঃ

কুয়াকাটায় হোটেলগুলো নিজস্ব রেস্টুরেন্টে তাদের অতিথিদের খাবারের জন্য ব্যবস্থা করে। এছাড়া এখানকার স্থানীয় রেস্টুরেন্টেও বিভিন্ন রকম দেশী খাবার পাওয়া যায় । বার-বি-কিউ, যেকোনো ধরণের মাছ ফ্রাই খাবার জন্য বীচের পাশেই দোকান আছে। টুনা মাছের বার-বি-কিউ ৩ কেজি ৭৫০ টাকা লইট্যা মাছ পার পিছ ৩৫ টাকা কাঁকড়া ( পার পিছ বড় ১০০-১৫০ , ছোট ৫০)

আমাদের কুয়াকাটা ভ্রমনের বিস্তারিতঃ

আমরা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে টিকেট কেটে  কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। লঞ্চ ছেড়েছে ৬.৩০ । সারা রাত আমরা লঞ্চের ডেকে বসে সময় কাটিয়েছি। আকাশ ভরা পূর্ণিমার আলো , পানির কল কল শব্দ বাতাস সবকিছু আমাদের মুগ্ধতায় ভরিয়ে রেখেছে।

পরের দিন ভোর ৫.০০ টায় আমরা পটুয়াখালী পৌছাই। সেখান থেকে বাস টার্মিনাল যেতে হয় অটোতে করে এবং বাস টার্মিনালে যেতে সময় লাগে প্রায় ২০/২৫ মিনিট ।  ১ম বাস ছাড়ে ৬.৩০ মিনিটে । বাস ষ্টেশনে গিয়ে টিকেট কেটে সকালের নাস্তা সেরে নেই । তাড়াতাড়ি নাস্তা সেরে বাসে উঠে পড়ি । আমরা কুয়াকাটা পৌছাই সকাল ১০.৩০ মিনিটে । তারপর আমরা হোটেলে চেক ইন করি। আমরা থেকেছি হোটেল তাজোয়ার প্যালেস এ । হোটেলে চেক ইন করেই আমরা চলে যাই কুয়াকাটা জিরো পয়েন্টে কারণ দীর্ঘ ভ্রমণ শেষে আমাদের সবার ইচ্ছা করছিলো সমুদ্রে জলকেলি করতে  আর গোসল করার জন্য সব পর্যটক কুয়াকাটা জিরো পয়েন্টকে বেঁচে নেয় । মোটামুটি ২ ঘন্টা সমুদ্রে অতিবাহিত করি । তার পর আমরা ফিরে আসি আমাদের হোটেলে । সমুদ্রে ঝাপাঝাপি করে আমরা সবাই ছিলাম ক্ষুধার্ত তাই আমরা বের হয়ে পড়ি লাঞ্চ করার জন্য ।

কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট থেকে সমুদ্র সৈকত পর্যন্ত রাস্তার দুইপাশে  অনেক খাবার হোটেল রয়েছে । এইসব হোটেলে সকালের নাস্তা, দুপুর এবং রাতের খাবার পাওয়া যায়। দুপুরে সাদা ভাত, বিভিন্ন রকম  ভর্তা, পোয়া মাছ, ডাল, সবজি এবং মুরগির মাংস,খেয়েছিলাম, প্যাকেজ নিয়েছিলো ১৬০ টাকা জন প্রতি । তবে খাবার আগে অবশ্যই দরদাম করে নেবেন। এছাড়া আপনারা চাইলে পছন্দমতো মাছ ভেজে নিয়েও খেতে পারবেন । এইসব হোটেলে মাছগুলো প্রসেস করাই থাকে। পছন্দ মত দরদাম করে অর্ডার করলেই ভেঁজে দেয় ।

 দুপুর ২ টার মধ্য লাঞ্চ সেরে আমরা দেখতে যাই ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী নৌকা, কুয়াকাটা বৌদ্ধ মন্দির, তার পাশেই আছে কুয়াকাটার কুয়া যার নামে কুয়াকাটা নামকরণ করা হয়েছে।

তারপর বিকাল ২.৩০ মিনিটে বাইক রিজার্ভ করে বের হই পশ্চিমের ৬ টি স্পট দেখতে। শুঁটকি পল্লী, ঝিনুক বীচ, লেবুর বন, দেখে তিন নদীর মোহনায় এসে আমরা সূর্যাস্ত দেখি এবং দূর থেকে সুন্দরবনের পূর্বাংশ - ফাতরার চরের নৈসর্গিক সৌন্দর্য অবলোকন করি । তারপর জিরো পয়েন্টে এসে বাইক ভাইয়াদের বিদায় দিয়ে টুনা মাছ, কাঁকড়া ফ্রাই অর্ডার করে আমরা চলে যাই বীচ মার্কেটে সেখানে বারমিজ আঁচার , চকলেট এবং শুঁটকী কেনাকাটা করি ।  কেনাকাটা শেষ করে সবাই মিলে টুনা মাছের বার-বি-কিউ  খেলাম সবাই। টেস্ট ছিলো অসাধারন। ট্যুরের পূর্ণতা দিয়েছিলো এটি। তার পর সবকিছু হোটেলে রেখে  ওইদিন রাতে সাগরের উত্তাল ঢেউ আর জোনা বিলাস করে সময় কাটাই রাত ১১ টা পর্যন্ত। ফেরার পথে পরের দিনের জন্য বাইক ঠিক করলাম। এরপর চলে আসলাম হোটেলে এভাবে আমাদের ১ম দিনের কর্ম ব্যস্ত দিন শেষ করি ।

পরেরদিন ভোর ৫ টায় বাইকের ভাইয়ারা এসে কল দিয়েছিল।  আমাদের সাথে তাদের চুক্তি ছিলো পূর্ব দিকের ১২ টি স্পট দেখাবে । আমরা প্রথমেই চলে যাই গঙ্গামতির চরে এই স্পটে খুব ভালো ভাবে সূর্যদয় দেখা যায় । সূর্যদয়  দেখা শেষ করে অন্য সব স্পট দেখার জন্য বাইকে চড়ে বসি , বীচের উপর দিয়ে বাইকে চড়া বেশ উপভোগ্য ছিলো। এক পাশে সমুদ্র সৈকত, অন্য পাশে বীচ আর গাছপালা দেখতে দেখতে আমরা পৌঁছে যাই কুয়াকাটার জাতীয় উদ্যান, কাউয়ার চর, তারপর গঙ্গামতীর লেক এরপর ঝাউবন, লাল কাঁকড়ার চর, রূপালী দ্বীপ ইত্যাদি স্পট দেখে সকালের নাস্তা সেরে নেই । তার পর রাখাইন পল্লীর উদ্দেশ্যে রাওনা দেই । রাখাইন পল্লীতে গিয়ে ওইখানের আদিবাসীদের পুলি  পিঠা খেতে ভুলবেন না প্রতি পিস পিঠা ১০ টাকা। রাখাইন পল্লিতে বৌদ্ধ বিহারমিষ্টি পানির কূয়া এবং রাখাইন পল্লীতে ঘুরে ১২.০০ টার দিকে চলে আসি হোটেলে। 

হোটেলে কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে জিরো পয়েন্ট বীচে গিয়েছিলাম গোসল সারতে , গোসল সেরে দুপুরে লাঞ্চ করে হোটেলে ফিরে আসি এবং লম্বা ঘুম দেই। বিকালে ঘুম থেকে উঠে আবারো কিছু কেনা কাটা করি এবং জিরো পয়েন্টে স্পিড বোডে ঘুরে বেড়াই এবং সূর্যাস্ত উপভোগ করি ।

এবং পরের দিন সকালে ট্রলার যোগে ফাররার চর ,লালকাকড়ার চর এবং শুঁটকী পল্লি ঘুরার জন্য একটি ট্র্যাভেল এজেন্টের সাথে কথা বলি । তাদের সাথে চুক্তি হয় তারা ভোর ৬ টায় আমাদের জিরো পয়েন্ট থেকে এই সব স্পটে ঘুরাতে নিয়ে যাবে জন প্রতি প্যাকেজ ছিলো ৫০০ টাকা করে। 

সকালে ভোর ৫টায় ঘুম থেকে উঠে আমরা নাস্তা সেরে রেডি হয়ে যাই ফাররার চরে যাওয়ার জন্য । সকাল ঠিক ৬ টায় আমরা ট্রলারে চেপে রাওনা দিয়েছিলাম  এবং ঘোরাঘুরি করে দুপুর ১২.০০ টায় ফিরে এসেছিলাম । হোটেল চেক আউট করেই দুপুরের খাবার সেরে নেই এবং  .০০ এর গাড়িতে রওনা দেই পটুয়াখালীর বাস স্ট্যান্ডের উদ্দেশ্যে। পটুয়াখালী লঞ্চ টার্মিনাল পৌছাই বিকাল ৪ঃ২০ টায়। তারপর লঞ্চের কেবিন ঠিক করে নেই লঞ্চ ছাড়ে বিকাল ৫.২০ মিনিটে। সুন্দর একটি ভ্রমনের অফুরন্ত স্মৃতি নিয়ে ঢাকা সদরঘাট পৌছাই ভোর ৬ টায়


ট্র্যাভেল বাংলাদেশ টিম সব সময় চেষ্টা করছে আপনাদের কাছে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করতে। যদি কোন তথ্যগত ভুল কিংবা স্থান সম্পর্কে আপনার কোন পরামর্শ থাকে মন্তব্যের ঘরে জানান অথবা আমাদের মেইল করুন chsaiful@gmail.com। আমরা ঠিক করে নিবো ।

দৃষ্টি আকর্ষণ : আমাদের পর্যটন স্পট গুলো আমাদের দেশের পরিচয় বহন করে এবং এইসব পর্যটন স্পট গুলো  আমাদের দেশের সম্পদ। এইসব স্থানের প্রাকৃতিক কিংবা সৌন্দর্য্যের জন্যে ক্ষতিকর এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকুন। আর ভ্রমনে গেলে কোথাও ময়লা ফেলবেন না । দেশ আমাদেরদেশের সকল কিছুর প্রতি যত্নবান হবার দায়িত্বও আমাদের।

সতর্কতাঃ হোটেলরিসোর্টযানবাহন ভাড়া সহ অন্যান্য খরচ সময়ের সাথে পরিবর্তন হয় তাই ট্র্যাভেল বাংলাদেশে প্রকাশিত তথ্য বর্তমান সময়ের সাথে মিল নাও পেতে পারেন। তাই অনুগ্রহ করে আপনি ভ্রমণে যাওয়ার আগে বর্তমান ভাড়া ও খরচের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে পরিকল্পনা সাজাবেন। এছাড়া আপনাদের সুবিধার জন্যে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে হোটেলরিসোর্টযানবাহনের জন্য যোগাযোগের নাম্বার দেওয়া হয়। এসব নাম্বারে কোনরূপ আর্থিক লেনদেনের আগে ভালো ভাবে যাচাই করার অনুরোধ করা হলো। কোন প্রকার আর্থিক ক্ষতি বা কোন প্রকার সমস্যা হলে তার জন্যে ট্র্যাভেল বাংলাদেশ দায়ী থাকবে না।


Vlog Tag:

#কুয়াকাটা,#Kuakata_Sea_Beach,#Kuakata_Travel_Guide,kuakata sea beach,kuakata trip,kuakata tour,kuakata beach,kuakata,kuakata hotel,places to visit in kuakata potuakhali,kuakata tourist spot,kuakata tourism,fatrar char,sea,patuakhali,সাগরকন্যা কুয়াকাটা,কুয়াকাটা,গঙ্গামতির চর,কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত,ফাতরার চর,কুয়াকাটা ভ্রমণ,লাল কাকড়ার চর,লেবুর বন,শুঁটকি পল্লী,তিন নদীর মোহনা,বৌদ্ধ মন্দির,travel bangladesh 

 


 











x

Post a Comment

0 Comments