রাঙ্গামাটি,কাপ্তাই হয়ে বিলাইছড়িতে ২ দিন ১ রাতের ট্যুর প্লান
ঢাকা থেকে হানিফ, সৌদিয়া, শ্যামলী, এস আলম বাস সরাসরি কাপ্তাই ঝেটিঘাট যায়। ভাড়া নেয় ৫৫০ টাকা জন প্রতি
এটা ছিলো ২ দিন ৩ রাতের ট্যুর প্ল্যান তাই সবচেয়ে ভালো হয় কাপ্তাই জেটি ঘাঁট হতে ট্রলার রিজার্ভ করে গেলে । কাপ্তাই জেটি ঘাঁট হতে ৫৫০০ টাকা দিয়ে ২ দিনের জন্য ট্রলার রিজার্ভ পাবেন । যদি আপনারা ট্রলার রিজার্ভ না করে বিলাইছড়ি যেতে চান সেটাও সম্ভব কাপ্তাই জেটি ঘাঁট হতে সকাল ৮:৩০ হতে প্রতি ১-১.৫ ঘন্টা পর পর লোকাল ট্রলার বিলাই ছড়ি যায় ভাড়া নেয় ৬০ টাকা করে জন প্রতি । কাপ্তাই জেটি ঘাঁট হতে বিলাই ছড়ি যেতে ২-৩ ঘন্টা সময় লাগে । আর আপনারা মূলত বিলাই ছড়িতেই থাকবেন । বিলাই ছড়ি হতে সম জায়গায় ঘুরবেন । আপনাদের ১ম লক্ষ্য থাকবে ঢাকা থেকে যাওয়ার আগেই হোটেল বুকিং করা , স্বপ্ন ভিলা আবাসিক – ০১৫৫৩১৩৪৩১২ , সৃতিময় বোর্ডিং - ০১৬৩৮৮২৩৬৯০,০১৮৭১৭৭৩৩৬৪ নিরিবিলি বোর্ডিং - ০১৫৫৩১২৮৬৭৩,১৫৫৭৪০৯৫৬৩ ট্রলার এবং স্পীড বোর্ড - ০১৫৫৭১৮৭০৪৬,০১৮২৭৭২২৯০৫ গাইড হিসাবে বেঁচে নিতে পারেন নিজাম ভাইকে (ভাত ঘর হোটেলের মালিক নিজাম ভাইয়ের এর সাথে যোগাযোগ করলে হোটেল , ট্রলার , খাবার সব বাবস্থা করে দিতে পারবে ) - ০১৮৬০০৯৯০২৯ এই ট্যুরে অবশ্যই ৩ কপি ন্যাশনাল আইডি কার্ড সাথে রাখবেন কারন নিরাপত্তার স্বার্থে ৩ টি আর্মি ক্যাম্পে ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটো কপি জমা দিতে হয় আপনারা বিলাইছড়িতে নেমে নিরিবিলি বোর্ডিং এ উঠতে পারেন। এখানে ডাবল বেড ৫০০ টাকা আর সিঙ্গেল বেড প্রায় ৩০০ টাকা পড়বে ,অন্য হোটেল গুলোতে ভাড়া প্রায় একই রকম ।
নকাটা ঝর্না এবং মুপ্পোছড়া ঝর্ণা(Muppochora Waterfall):
১ম দিনের ট্যুর প্ল্যান নকাটা ঝর্না এবং মপ্পুছড়া ঝর্নায় ট্র্যাকিং করা । নকাটা ঝর্ণা যেতে হলে বিলাইছড়ি পৌঁছে বিলাইছড়ির হাসপাতাল ঘাট থেকে ট্রলার রিজার্ভ করে বাঙ্গালকাট পর্যন্ত যেতে হয় । ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের এই পথ যেতে ট্রলার রিজার্ভ নেয় ১০০০ টাকার মতো আমরা যেহেতু ২ দিনের জন্য ট্রলার রিজার্ভ করে নিয়েছি তাই আমাদের আলাদা ট্রলার রিজার্ভ করতে হয়নি । বাঙ্গালকাটা নেমে গাইড ঠিক করে নিতে পারেন। ৩০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে গাইড পেয়ে যাবেন। বাঙ্গালকাটা থেকে শুরু হয় এই ঝর্ণায় যাবার মূল ট্র্যাকিং। আর বাঙ্গালকাটা হতে প্রায় ১ ঘণ্টা ট্র্যাকিং করলে পেয়ে জাবেন নকাটা ঝর্ণা। নকাটা ঝর্না থেক মপ্পুছড়া যেতে ১-১.৫ ঘন্টার মত ট্র্যাকিং করতে হয় ।
ধুপপানি ঝর্ণা(Dhuppani Waterfall):
পরের দিন সকাল ৪ টায় ঘুম থেকে উঠবেন কারন ধুপ পানি ঝর্নায় যেতে ভোর ৫ টায় রাওনা দিতে হয় । এবং হোটেল থেকে ব্যাগ গুছিয়ে বেড়িয়ে পড়বেন কারন আর হোটেলে ফেরা হবে না , ধুপপানি দেখে কাপ্তাই জেটি ঘাঁট ফিরতে রাত ৭ টা - ৮ টা বেজে যাবে । বরাবরের মত ভাত ঘরে সকালের নাস্তা এবং দুপুরের খাবার রাতেই অর্ডার করে রাখবেন , এবং ভোর ৫ টায় খাবারের পার্সেল নিয়ে ট্রলারে উঠবেন , এবং ধুপ পানি ঝর্নায় যাওয়ার পথে ২ টি আর্মি ক্যাম্পে ন্যাশনাল আইডি কার্ড জমা দিতে হবে ।
ট্রলার আপনাকে উলুছড়ি পর্যন্ত নিয়ে যাবে সময় লাগবে ২-৩ ঘন্টা । উলুছড়ি হতে কোষা নৌকায় ধুপ পানি ঝর্নার জিরি পর্যন্ত যেতে হয় ভাড়া নেয় জনপ্রতি ৩০ টাকা সময় লাগে ১০ মিনিট , আর কোষা নৌকায় উঠার আগে গাইড ঠিক করে নিবেন , গাইড ফি ৫০০ টাকা । কোষা নৌকা থেকে নেমে ধুপপানি ঝর্নায় যেতে ৩ ঘন্টা পাহাড়ি পথ পাড়ি দিতে হয়
এই ট্যুরে আপনি সবছেয়ে বেশি উপভোগ করবেন কাপ্তাই লেকে ট্রলারে ঘোরাঘুরি কারন লেকে ঘুরার সময় মনে হবে যেনো চারপাশে অথই জলরাশির মাজে দিপের মত পাহাড় গুলো ভেসে রয়েছে, এই সৌন্দর্য সারা জীবন মনে রাখার মত ।
আর খাবারের জন্য বেঁচে নিতে পারেন ভাতঘর হোটেল । পাহাড়ি বন মোরগ, এবং কাপ্তাইয়ের তাজা মাছ দিয়ে খেতে চাইলে আগে থেকে খাবারের অর্ডার করতে হয়।
বিলাই ছড়ি হতে ধুপ পানি যাওয়ার জন্য ট্রলার রিজার্ভ ২০০০ টাকা যদি সেইম ডেটে ঢাকা ফিরতে চান তবে সারা দিনের জন্য ট্রলার রিজার্ভ করে নিবেন ভাড়া নিবে ৩০০০ টাকা এবং ধুপ পানি ঝর্না দেখা শেষে সরাসরি কাপ্তাই জেটি ঘাটের উদ্দেশ্য রাওনা দিবেন । সবচেয়ে ভালো হয় কাপ্তাই জেটি ঘাঁট হতে ৫৫০০ টাকা দিয়ে ২ দিনের জন্য ট্রলার রিজার্ভ করে নিলে তাহলে বার বার ট্রলার রিজার্ভ করতে হয় না খরচ ও হয় অনেক কম তখন ১ ট্রলার দিয়েই সম্পূর্ণ ট্যুর শেষ করা যায়।
0 Comments